শিরোনাম
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জনগণের স্বার্থের বাইরে চুক্তি হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের স্বার্থের বাইরে চুক্তি হবে না

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই আলোচনার বিষয় জানতে চাওয়ায় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বন্ধুত্বে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। ক্ষমতার জন্য আমাদের ভারতপ্রীতিও নেই, ভীতিও নেই। শুধু দুঃসময়ের বন্ধু, এই বন্ধুত্ব থাকবে, বন্ধুত্ব থাকবে জনগণের স্বার্থে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারত যাননি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও এখনো হয়নি। এরই মধ্যে বিএনপি নতুন নালিশের ভাঙা রেকর্ড বাজানো শুরু করেছে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শ্রমিক লীগের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হলে জনগণের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে হবে। জীবন থাকতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের স্বার্থের বাইরে কাজ করবেন না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি পাঁচটি সিটি নির্বাচনে একসঙ্গে বিজয় লাভ করেছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন রোল মডেল হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জাতীয় নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মতো হবে। দেড় বছর আগে বলছি— দেখেন কথায় আর কাজে মিল থাকে কিনা। বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করে শ্রমিক নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শ্রমিক নয় অথচ শ্রমিকদের নেতা। নেতাগিরি করলে আগে শ্রমিক হতে হবে। পরিবহনেও অনেক নেতা আছে যারা শ্রমিক নয়। তাদের অনেকেই আবার পরিবহন শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন। যারা জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করে, তারা শ্রমিকের কতটা আপন— সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। গরিব মানুষদেরকে আপনারা বিভ্রান্ত করবেন না। নামের সঙ্গে ‘আওয়ামী’, ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘বঙ্গমাতা’ ‘লীগ’ জুড়ে দিয়ে গড়ে তোলা সংগঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতির নামে কিছু কিছু দোকান খোলা হয়েছে। এই দোকানগুলো বন্ধ করতে হবে। আজও রাস্তায় দেখলাম আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী ওলামা লীগ, প্রজন্ম লীগ। এই যে দোকান— এদের স্বীকৃতি দেব না। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বাইরে অন্য কোনো সংগঠনের স্বীকৃতি দেব না। স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে কেউ বঙ্গবন্ধু, নেত্রী, জয় ও দলের নেতাদের ছবি ব্যবহার করলে তাদের প্রতিরোধ করুন। এসব ভুঁঁইফোর সংগঠন বানিয়ে দিবসভিত্তিক চাঁদাবাজি করা হয়। এসব দোকান ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুর ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর