শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি জনগণ মানবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি জনগণ মানবে না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া দেশের স্বার্থবিরোধী অন্য কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হবে। কিন্তু শেখ হাসিনার ওই সফরে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি এ দেশের জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভা শেষে মির্জা ফখরুল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এর আগে মির্জ ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। “২০০১ সালের নির্বাচনের আগে হাওয়া ভবনে ‘র’-এর লোকজন বসে থাকতেন”—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “পাবলিক পারসেপশন অন্য রকম আছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই নাকি ‘তারা’ এখন বসে থাকেন। কারা বসে থাকেন তা আমরা জানি না। এটা পাবলিক পারসেপশন। যদি তা-ই হয়, এ ব্যাপারে তার (প্রধানমন্ত্রীর) ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।” মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তাকে সবকিছু চিন্তা করে কথা বলা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেখতে পাই না। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে অবলীলায় মিথ্যাচার করেন। ফলে জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে আরও বিভক্ত হয়। দেশের মানুষের স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থে যেটা বলা দরকার, সেটাই তার বলা উচিত।

“২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল”—প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন? কার কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন?’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের ব্যাপক সম্পর্ক রয়েছে। আশায় ছিলাম, তিস্তার পানি অন্তত পাব। কিন্তু আজ পর্যন্ত পাইনি। শুধু তা-ই নয়, ভারতের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, পানি দেওয়া সম্ভব না। অথচ আমাদের দিক থেকে যা দেওয়ার, সব দিয়ে দিয়েছি। ট্রানজিট দেওয়া হয়েছে, নৌপথে বন্দর ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ একটু সুবিধাও পায়নি। উপরন্তু সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর