বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

বছরে কর্মসংস্থান হবে ২৯ লাখ

-----পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বছরে কর্মসংস্থান হবে ২৯ লাখ

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছরে প্রায় ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে দেশে। এজন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষতা বাড়াতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ফিবছর আমাদের শ্রমবাজারে ২২ লাখ কর্মশক্তি যুক্ত হচ্ছে। আমরা এর আগে এই শ্রমশক্তির পুরোটা কাজে লাগাতে পারিনি। ফলে কিছু বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এখন বছরে ২৯ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে আগে যারা কাজ পায়নি, তাদেরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’ গতকাল একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সামনে অবারিত সুযোগ আর অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের রয়েছে বিশাল যুবশক্তি যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারের অন্যতম পরিকল্পনা।’ সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানো এবং বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ। এরই মধ্যে ২৫টির কাজ পুরোদমে চলমান রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও অর্থনৈতিক জোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এসব জোন তৈরি হওয়ার আগেই সেখানে দেশি-বিদেশি বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এসব বিনিয়োগে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তরুণ ও যুবসমাজের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়েও সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এমনটি জানিয়ে লোটাস কামাল বলেন, আজও (গতকাল) (গতকাল) আইসিটি খাতের একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ৭৫৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৩০ হাজার জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ১০ হাজার প্রশিক্ষণার্থী সুযোগ পাবে যারা শুধু সাধারণ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বাকি ২০ হাজার নেওয়া হবে যারা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। এই ২০ হাজারকে উচ্চ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিবিদদের সমকক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আগে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তি ছিল কৃষি খাত। এখন যেহেতু কৃষি থেকে অনেকেই সেবা খাতে চলে যাচ্ছেন, ফলে সেখানে জনবলস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এজন্য আমরা কৃষিকেও প্রযুক্তিনির্ভর খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছি। এখন অনেকেই ইন্টারনেটে চাষাবাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।’ দেশের নারীসমাজের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নারী মানে কেবল গার্মেন্টে কাজ করবে তেমনটি আমরা দেখতে চাই না। নারীর কাজেও বৈচিত্র্য আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি, সেবা, শিল্প, বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব খাতে নারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই বিপুল জনশক্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে রেখে উন্নয়ন হবে না। নারী ও পুরুষ এ দুই কর্মশক্তিকেই উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করে স্বপ্নচূড়ায় নিয়ে যেতে চাই আগামীর বাংলাদেশকে।’

সর্বশেষ খবর