সেঞ্চুরি করে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরের ইতিহাসে অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে দেশের শততম টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের ব্যাটে ভর করে শততম টেস্টে এখন চালকের আসনে বসেছেন মুশফিকরা। আগের দিন শেষ বিকালে ১৯৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বিপর্যস্ত বাংলাদেশ কাল লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে করেছে ৪৬৭ রান। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে খাদের কিনারা থেকে উঠে আসার এমন নজির নেই বললেই চলে। প্রথম ইনিংসেই ১২৯ রানের লিড। যদিও কাল শেষ বিকালে বিনা উইকেটে ৫৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কাও। তারপরও এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ৭৫ রানে পিছিয়ে তারা। তবে আজকের দিনের পারফরম্যান্সের ওপরই নির্ভর করছে ম্যাচের ফল। সাকিবের মতে, ‘ম্যাচটি এখনো ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে। উইকেটে স্পিনারদের জন্য দারুণ সুবিধা রয়েছে। আমরা ভালো বোলিংও করেছি। সুযোগও পেয়েছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। এই উইকেটে পঞ্চম দিনে ২০০ রান করাই কঠিন হয়ে যাবে!’ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কাল দারুণ ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন। সাকিব ষষ্ঠ উইকেটে মুশির সঙ্গে ৯২ রানের জুটি এবং সপ্তম উইকেটে মোসাদ্দেকের সঙ্গে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। এই দুটি জুটিই বাংলাদেশকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের বড় সংগ্রহে বড় অবদান মুশফিকের। ৮১ বলে তার ৫২ রানের ইনিংসটি ছিল অসাধারণ। তবে আরও বড় ইনিংস খেলার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন টাইগার দলপতি। তাই তো হাফ সেঞ্চুরির পর তিনি ব্যাট উঠাননি। কিন্তু নতুন বলে লঙ্কান পেসার লাকমলের করা ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল স্ট্যাম্পে আঘাত করে। মোসাদ্দেক হোসেন খেলেছেন ৭৫ রানের সাহসী এক ইনিংস। ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি এটি ছিল তার অভিষেক ম্যাচ। তবে সাকিবের ইনিংসটিকে কোনো বিশেষণেই যেন বিশেষায়িত করা যায় না! আগের দিন উগ্র মেজাজে ব্যাটিং করা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কাল খেলেছেন ধৈর্যশীল এক ইনিংস। ১৫৯ বলে করেছেন ১১৬ রান। সাকিবের ব্যাটে ভর করে দিনটিই নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।