সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

নেতা হয়ে বসে থাকলে চলবে না

——— প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তাঁতীদের কল্যাণে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেতা হয়ে শুধু বসে থাকলে চলবে না। তাঁতীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো কী তা দেখতে হবে। তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠনের বাইরেও বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। আমরা চাই প্রতিটি সংগঠন নীতি ও আদর্শ মেনে চলবে। যাদের জন্য যে সংগঠন করা হচ্ছে সেই সম্প্রদায়ের মানুষের যাতে কল্যাণ হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টরা দৃষ্টি রাখবেন। গতকাল দুপুরে ফার্মগেটে কৃষিবিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশ দেন। তাঁতীরা নিজেদের পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় আক্ষেপ  করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা তো একটা শিল্প, এটা একটা কলা, এটা একটা আর্ট। কিন্তু এই পেশা ছেড়ে কেউ রিকশাচালক হয়ে যায়, কেউ মাটি কাটতে শুরু করে। খদ্দর কাপড়ের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের খদ্দরটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা শিল্প। খদ্দরের তৈরি কাপড় এক সময় আমাদের দেশে একটা ফ্যাশনই ছিল। কীভাবে যেন ধীরে ধীরে তার চাহিদা আর গুরুত্বটা হারিয়ে যেত বসল।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক এনাজুর রহমান চৌধুরী। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাধনা দাসগুপ্তা স্বাগত, যুগ্ম আহ্বায়ক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সাংগঠনিক রিপোর্ট, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মসলিনের ওপর চার ইঞ্চি জরির কাজ করতে পুরোটা দিন লেগে যায়। এই যে তারা মনোযোগ দিয়ে একটি বস্ত্র তৈরি করছেন এটাও তো একটি অত্যন্ত উন্নতমানের শিল্প। কাজেই এটাকে আরও বেশি সহযোগিতা করার জন্য আমাদের সরকার সব সময় প্রস্তুত এবং আমরা তা করে যাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁতী ভাইয়েরা লক্ষ্য করেছেন, আমি কিন্তু কখনো ফ্রেঞ্চ শিপন পরি না। বাংলাদেশে তৈরি, আমাদের তাঁতীদের তৈরি কাপড়ই সব সময় ব্যবহার করি। এটা সুতির কাপড় হোক, সিল্কের কাপড়, এমনকি খদ্দর শাড়ি আছে তাও পরি। তিনি বলেন, বিদেশে যত উপহার পাঠাই। উপহারের খাতায় সবসময় দেশে তৈরি কাপড় রাখি ও উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, তাঁতের শাড়ি আমরা ব্যবহার করি। তবে আমার মনে হয় আমাদের ছেলে-মেয়েরাও এই তাঁতীদের তৈরি কাপড় ব্যবহার করতে পারে। এই শাড়ি দেখতেও সুন্দর। তার সন্তান-সন্ততিদের তিনি খদ্দরের কাপড় কিনে দেন এবং সবাই সেটা পরে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর