বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের মতো নেতা বন্দনা কোথাও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের মতো নেতা বন্দনা কোথাও নেই

সুলতানা কামাল

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ও বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে যত আবেগ দিয়ে নেতা-নেত্রীদের বন্দনা করা হয়, পৃথিবীর কোথাও এমন বন্দনা করা হয় না। আমরা এমন একটা জাতি; আমরা যত বেশি আবেগ দিয়ে দেশের কথা বলি, যত আবেগ দিয়ে নেতা-নেত্রীদের বন্দনা করি, পৃথিবীর কোথাও এত বন্দনার প্রয়োজন হয় না, করেও না কেউ। এটা কিন্তু খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়ায়। নেতা বন্দনার কোনো কারণ ঘটে না কোথাও। আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস উদযাপন উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ দলিত পরিষদ ও পরিত্রাণ আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন, নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ। কয়েকজন এমপিও এ সংলাপে অংশ নেন। দলিত পরিষদের উপদেষ্টা মিলন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ দলিত পরিষদের সমন্বয়ক বিকাশ দাশ। সুলতানা কামাল নেতা-নেত্রীদের বন্দনা বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা সব সময় তিরিশ লাখ শহীদের দোহাই দেই। কিন্তু আমরা কী করতে পেরেছি দেশের জন্য? এখনো দেশে বঞ্চনা বহন করছি। এভাবে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আজকে আমরা নিজেদের বলছি উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছি। সেই জায়গায় কিছু জনগোষ্ঠী কেন বোধ করবে তাদের জায়গাটা এ দেশে পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া সাড়ে সাত কোটি মানুষের সবাই মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এ মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য, অবিচার, বঞ্চনামুক্ত দেশ গঠন। সুলতানা কামাল বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন শেষে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা ও বঞ্চনার জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আদর্শভিত্তিক, ন্যায্য অধিকারভিত্তিক সমাজ গঠন এর উদ্দেশ্য ছিল। স্বাধীনতার এতদিন পরে এসেও কেন আমরা এসব উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারিনি সেটা বিশ্লেষণ হওয়া দরকার।

সর্বশেষ খবর