বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে ‘ঘরবন্দী’ রেখে নিজের দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে একতরফা ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এগিয়ে চলছেন। দেশে যে গণতন্ত্র নেই-এটাই প্রমাণ করে।’ ফখরুল আরও বলেন, দেশের ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে’ কোনো চুক্তি মানুষ মেনে নেবে না। তিনি গতকাল সকালে শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন। এর আগে জিয়া পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের নেতৃত্বে জিয়ার কবরে ফুল দেন বিএনপি মহাসচিব। কবীর মুরাদ ছাড়াও সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক আবু তাহের, অধ্যাপক লুত্ফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক আলী নুর রহমান ও অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হলে অন্য সব চুক্তি ‘অর্থহীন’ হয়ে যাবে বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ফলপ্রসূ করতে হলে সবার আগে দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে, যার অন্যতম হলো পানি বণ্টন। তিস্তাই হচ্ছে এখন সবার আগে প্রধান সমস্যা। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষ আশা করেছিল, একটা সম্পর্ক তৈরি করে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আমরা পাব। শুধু তিস্তাই নয়, আমরা ৫৪টি নদীর কোনো ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না। তিস্তার পানি চুক্তি যদি না হয়, তাহলে অন্য কোনো চুক্তি অর্থহীন হবে।’ তিস্তা চুক্তি ঝুলে থাকায় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দর কষাকষি করতে পারছি না এ জন্য যে, আমরা নতজানু হয়ে আছি।’
বাংলাদেশে যারা সরকার চালাচ্ছেন, যারা দর কষাকষি করছেন, তারা আগেই দুর্বল হয়ে নতজানু হয়ে আছেন। তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য দেশের স্বার্থকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। সে জন্য আজ এই অবস্থা।’
