শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজ্যের স্বার্থ দেখেই তিস্তা চুক্তি

কলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের স্বার্থ দেখেই তিস্তা চুক্তি

পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি সম্ভব নয় বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা এ কথা জানান। চ্যানেলটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর সুমন দের তিস্তা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, রাজ্যের স্বার্থে যা করার আমি তাই করব। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে যতটা সাহায্য করার দরকার করব, কিন্তু সেটা রাজ্যকে বাঁচিয়ে। মমতা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো, রাজনৈতিক সম্পর্কও খুব ভালো। আর সে কারণেই ৬৬ বছরের পুরনো স্থলসীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি। কিন্তু সবকিছু তো আর পাওয়া যায় না। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ রয়েছে সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, আমি যেহেতু এ জায়গায় (মুখ্যমন্ত্রীর) দায়িত্বে আছি। মানুষ তো আমাকে ধরবে। বাংলার স্বার্থে আমি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি করতে পারি না। কিন্তু যেখানে আমি পারব এবং দুই দেশেরই ভালো হবে সেটা আমি অবশ্যই করব।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না : ভারতের কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপিত আবক্ষ ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার দাবি নাকচ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তার ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ১৭ মার্চ কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায়  উদ্যাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে অন্য কোনো সরকারি স্থানে বসানো হোক।’ এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনোরকম বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না।’ ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় ১৯৪৫-৪৬ সালে এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন। তিনি ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলিয়ে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন।

সর্বশেষ খবর