বিদেশের মাটিতে পালিয়ে থাকা বড় বড় দুর্নীতিবাজের তালিকা করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি গতকাল সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন। এর আয়োজন করে দুদক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল প্রমুখ। এ ছাড়া শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা দুর্নীতিবাজ তাদের জন্য দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুর্নীতি নির্মূল করা শুধু দুদকের একার কাজ নয়। সবাই এক না হলে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’ বিদেশে পালিয়ে থাকা দুর্নীতিবাজদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা—সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি করে যারা বিদেশের মাটিতে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছর দুর্নীতি প্রতিরোধে এক এক করে তালিকা করে বড় বড় দুর্নীতিবাজকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে। দুদক বড় বড় মাদকসম্রাটকেও ছাড় দেয়নি। আইন অনুযায়ী আটক করে মাদকসম্রাটদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুদক কোনো গ্রেফতারি সংস্থা নয় যে আসামিদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু কমিশন তখনই কোনো আসামিকে গ্রেফতার করে, যখন কেউ আইন ভঙ্গ করেন কিংবা আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখান। আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা। আমাদের কাজ দুর্নীতি নির্মূল করা। কিন্তু কমিশন একা কোনো সফলতা আনতে পারে না, যদি না কমিশনের চারপাশে সহায়তার অনেক হাত না থাকে।’ দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধনের উদ্দেশ্য দুর্নীতিকে ‘না’ বলা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দেশ দুর্নীতিমুক্ত হোক। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে সবাই মুক্তি পান। কিন্তু দেশের প্রতিটি সেক্টরে কমবেশি দুর্নীতি রয়েছে। আর এটা নির্মূল করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তবেই দেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত।’