বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ছিলেন আরও ১৭ জন।
সকাল থেকেই নিখোঁজদের সন্ধান কাজ শুরু করে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও নিখোঁজদের স্বজনরা। নৌবাহিনীর এরিয়া ড্রাইভিং অফিসার কমান্ডার শাহরিয়ার আকনের নেতৃত্বে নৌবাহিনীর ৩টি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এ ছাড়া খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট, খুলনা ও বরিশালের ৪টি টিম উদ্ধার অভিযানে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ : ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সান্ত্বনা দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, মাস্টার খ ম লুত্ফর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম টিটু, খান হাসিবুর রহমান, রাসেল হাওলাদার, মনিরুজ্জামান রাজ্জাক, আবু ফয়েজ নিশাত এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।মানববন্ধন : ট্রলারডুবি ঘটনার তদন্ত ও পানগুছি নদীতে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কাপুড়িয়াপট্টিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে নেতা-কর্মী ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।