কোন্দল করে নির্বাচনে দলের ‘অনিবার্য’ বিজয়কে যারা নস্যাৎ করে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সংগঠন করলে সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। কলহ করে, কোন্দল করে দলের বিজয়কে যারা নস্যাৎ করে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। এখন থেকে যে কোনো নির্বাচনে যেখানেই বিদ্রোহ, সেখানেই বহিষ্কার, যেখানেই অপকর্ম, সেখানেই কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সাংগঠনিক ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন চলতে থাকবে। গতকাল দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। জবি ছাত্রলীগ সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দীন আহম্মেদ রাজু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হীরু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাচ্চু মিয়া, দেবাশীষ বিশ্বাস, কামরুল হাসান রিপন, সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক স্বপন, গাজী আবু সাইদ প্রমুখ। ছাত্রলীগে পকেট কমিটি না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নেতা নির্বাচনে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি ছাত্রলীগে কালা পাহাড়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশা, ছাত্রলীগে সুশিক্ষিত ও সৎ-সাহসী তরুণ নেতৃত্ব আসবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই দলে কোনো কালা পাহাড়ের দানবের অস্তিত্ব রাখব না। কোনো কালা পাহাড়ের দানব এখানে কালা পাহাড়ি আচরণ করবে, দলের-সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে এদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব।’ তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শিকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে, যা অনেক শক্তিশালী। সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থিদের সরকার হটানোর চক্রান্ত সফল হবে না। বাংলার তরুণ সমাজ সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রপন্থিদের প্রতিহত করবে।