সারা বিশ্বের ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ নারী এমপি কোনো না কোনোভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার। এর মধ্যে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ নারী এমপি যৌন হয়রানি এবং ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হন। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলনে নারী বিষয়ক সেমিনারে এ পরিসংখ্যানটি তুলে ধরেন ব্যুরো অব ওম্যান পার্লামেন্টের প্রতিনিধি কারিন জাবরি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এমপি। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সম্মেলনের চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং আইপিইউর প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। ব্যুরো অব ওম্যান পার্লামেন্টের প্রতিনিধি জানান, ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ নারী এমপি যৌন নির্যাতনমূলক মন্তব্য শুনে থাকেন। এদের অধিকাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী এমপিকে হত্যা, ধর্ষণ বা অপহরণের মতো গুরুতর হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অশ্লীল মন্তব্য ও আচরণ দ্বারা হয়রানির শিকার হন ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এমপি। প্রেসব্রেফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইপিইউর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কারিন জাবরি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৫৫ জন মহিলা এমপির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইপিইউর ব্যুরো অব ওম্যান পার্লামেন্টের স্টাডি রিপোর্টে এসব তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এটি হচ্ছে রাজনীতি এবং সংসদে অংশগ্রহণকারী নারীদের একটি চিত্র। এ প্রতিবেদন সারা দুনিয়ার সংসদগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আমরা নারীর অধিকার এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে থাকি বলে বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় আলোচনা করা হলো। নারীদের প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধের জন্য ব্যুরো অব ওম্যান পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে সবাইকে এ স্টাডি প্রচার এবং বিতর্ক করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। আমরা আশা করি আগামীতে এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।