সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ-ভারত দুই পক্ষই প্রস্তুত আছে। কিন্তু প্রক্রিয়াগত কিছু জটিলতার কারণে এটি স্বাক্ষর হচ্ছে না। গতকাল রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। সম্মেলনে পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার সবই জনগণকে জানানো হবে। জনগণের কাছে তথ্য গোপন করার রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নেতারা অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে গোপন করার কিছু নেই। ভারতের সঙ্গে চুক্তি হবে বাংলাদেশের জনগণের জন্যই। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের ভিতর দিয়ে তিস্তাসহ অভিন্ন সব নদীর চুক্তি হবে। শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে এসবের অগ্রগতি হয়েছে, আরও হবে। গালিগালাজ করলে ভারত কিছুই দেবে না। দেশে যত ন্যায্য অধিকারই থাক আদায় করা সম্ভব হয় না। বন্ধুত্বের ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনা করে দাবি আদায় সম্ভব। এর উত্কৃষ্ট প্রমাণ বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আদায়। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের ধারেকাছেও নেই আমরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত পাশে না থাকলে কী হতো? ইন্দিরা গান্ধী পাশে না থাকলে কী হতো আমরা ভুলে যাই। শত্রুতা করে দাবি আদায় করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার বা তাদের সম্পত্তি দখলের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। এ জন্য সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।
