মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

দিল্লিকে কড়া বার্তা হাসিনার

চাইলাম পানি দিল বিদ্যুৎ, সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পানি বণ্টনে

জুলকার নাইন ও রফিকুল ইসলাম রনি, নয়াদিল্লি থেকে

দিল্লিকে কড়া বার্তা হাসিনার

নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিল্লিতে টানা তিন দিনের সফর শেষে অনেকটা কড়া বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নজিরবিহীন সম্মান, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ দীর্ঘ সম্পর্কের আশ্বাসের পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থকে সামনে নিয়ে এসে দিল্লিতে বসেই মুখ খুললেন।

গতকাল বিকালে ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ছাড়ার আগে সকালে দুই বক্তৃতায় তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির ওপরই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের আগামী দিনের রূপান্তর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাইলাম পানি, দিল বিদ্যুৎ।’ অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসের ওপর বাংলাদেশ আস্থা রাখতে চায় বলেও উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ঝগড়া করে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই বন্ধুর কাছ থেকে পাওনা বুঝে নিতে হয়।’ বিশেষ বিমানে রওনা দিয়ে রাতে ঢাকা পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে নয়াদিল্লির ইমপেরিয়াল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয় ভারতের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। সেখানে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমাদের যৌথ পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে অববাহিকাভিত্তিক একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের যৌথ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিহিত।’ তিস্তা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা লিখিত বক্তব্যের বাইরে হিন্দিতে বলেন, ‘মুঝে কুছ পাতা নেহি দিদিমণি কেয়া করেগি... নয়া কুছ দেখা দিয়া... পানি মাঙ্গা, ইলেকট্রিসিটি দেয়া... কই বাত নেহি... কুছ তো মিলা।’ (অর্থাৎ, আমার জানা নেই মমতা দিদিমণি কী করবেন... তিনি নতুন কিছু দেখিয়ে দিলেন, পানি চাইলাম দিলেন বিদ্যুৎ; কোনো ব্যাপার না... কিছু তো পেলাম)। শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোদিজি বলেছেন সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ের সমাধান করবেন। আশা করি তিনি তার কথা রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ। ছোট কিংবা বড় দেশ বিষয় নয়, উভয়ই স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা বন্ধুত্বকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই... বন্ধুত্ব দিয়েই যে কোনো সমস্যার ভালো সমাধান সম্ভব। আমাদের সবার একমাত্র শত্রু দারিদ্র্য। দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য আমরা সবাই মিলে যেন সমাধান করতে পারি সেটাই প্রত্যাশা।’ সংবর্ধনায় বাংলা-ইংরেজি-হিন্দি মিলিয়ে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তাকে বিশ্বনেতা হিসেবে উল্লেখ করে বক্তব্য দেন বক্তারা। হিন্দিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যেখানে ভারতের সবাই যেন এক হয়েছিলেন, ঠিক যেমন মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছিলেন ভারতীয়রা। আমরা এই সহযোগিতার কথা কখনই ভুলব না।’ সংযোগ বা কানেকটিভিটির ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই যোগাযোগ স্থাপনে আরও উদার হতে হবে এবং নতুন নতুন দিক উন্মোচন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে, যার ভিত গড়ে গিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উভয় দেশের মধ্যে সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতা রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা আমরা দুই দেশ মিলে সম্পন্ন করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য ভারতবাসীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন, ‘যারা একসময়ের শত্রু তাদের আমরা ক্ষমা করে দিতে পারি, কিন্তু তাদের দেওয়া সেই ক্ষত ভুলতে পারি না। ২৫ মার্চ আমাদের দেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে... আর যারা তা ঘটিয়েছে তা একটি বড় ক্ষত। আমি দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণায় ভারতসহ বিশ্বনেতৃত্বের সহযোগিতা চাই।’ তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারত যে সহযোগিতার মনোভাব আমার পরিবারকে দেখিয়েছে তা আমি কখনই ভুলব না।’ সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে জার্মানি থেকে তাকে ও ছোটবোন শেখ রেহানাকে ডেকে আশ্রয় দিয়েছিলেন সে কথাও স্মরণ করেন হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের গণতন্ত্র আর আমাদের গণতন্ত্রে পার্থক্য রয়েছে। ভারত সৌভাগ্যবান টানা গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছে। আমাদের মিলিটারি শাসক আসে, স্বার্থবাদী শক্তি আসে, তাদের কারণে দেশ পিছিয়ে যায়।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সবার সম্পর্কের মূলে দুই দেশের জনগণ। তাদের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলে এই মানুষগুলোকে উন্নত জীবন দিতে পারব।’ ভারতের সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার উল্লেখ করে ‘মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি’ এবং বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্যই এটা জরুরি। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে আরও বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিনিয়োগ আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ দেখতে পেয়েছি।’ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান লাল কৃষ্ণ আদভানি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারাম। নির্মলা আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনাকে বর্তমান সময়ের বিশ্বনেতা বলে উল্লেখ করেন। তার নেতৃত্বে দেশ কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার উল্লেখ করে নির্মলা বলেন, শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, বার বার তাকে জেলে আটক থাকতে হয়েছে, কিন্তু এই লড়াকু নেতা তার সব মনোবল দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পরে আদভানি তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমার জানা নেই, এর আগে আর কোনো প্রতিবেশী দেশের নেতা এত দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের প্রিয় বন্ধু ও প্রিয়জন হয়ে থেকেছেন। শেখ হাসিনাকে ভারতে যে সম্মান দেখানো হচ্ছে তার অংশ হতে পেরে আমিও ধন্য মনে করছি। ভারত ও বাংলাদেশ মিলে উন্নয়ন কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে। শেখ হাসিনা তার দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা অসাধারণ এবং তাতে অসাধারণ সফলতাও তিনি পেয়েছেন। এই বিষয়ে গর্ব সবারই।’ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দেন আদভানি।

ঝগড়া নয়, আলোচনায় সমাধান : হোটেল তাজ প্যালেসে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসি) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত আরেকটি অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ঝগড়া করে নয়, বন্ধুর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হয়।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের জনগণের জীবন ও জীবনযাত্রার উন্নয়নে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ করার জন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল দেশ। এ দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একসঙ্গে উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা ধনী। এজন্য আমি বাংলাদেশে আপনাদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বেশি মুনাফা সাশ্রয়ী ব্যয় ও বিপুলসংখ্যক ভোক্তার সুযোগ নিতে পারেন। আপনাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় আমাদের রয়েছে ইন্দো-বাংলা বিনিয়োগ চুক্তি। এতে রয়েছে শতভাগ মুনাফা ও পুঁজি ফেরত নেওয়ার আকর্ষণীয় প্যাকেজ।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ইইউ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে জিএসপি সুবিধা পায়। তিনি ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারাও চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চিলির মতো দেশগুলো থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধার সুযোগ নিতে পারবেন। এ ছাড়া শিল্পায়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এর মধ্যে মংলা, ভেড়ামারা ও মিরসরাই বিশেষভাবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।’ ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার দেশ বিক্রি করে দিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো জনগণ ও আঞ্চলিক কল্যাণে স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বলছেন ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে দেশ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তারা অর্বাচীন। কারণ আমরা সামগ্রিকভাবে জনগণ ও আঞ্চলিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘আপনারা বলুন, আমরা দেশ বেচে দিলাম নাকি কিছু অর্জন করে ফিরছি।’

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী : নয়াদিল্লিতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ভারত সফর নিয়ে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৫টায় নয়াদিল্লির পালাম ঘাঁটি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিজেপি সরকারের বাঙালি শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। চার দিনের সফরে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে তিস্তা চুক্তি না হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সরকারের সময়েই তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনে এই সফরে নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত হন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা সফরের এই চার দিন ছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। শুরুতেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেদিন রাতেই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ২২টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেদিন শেখ হাসিনার সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন মোদি। বিকালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাত ভারতীয় সেনাকে সম্মাননা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার আজমিরে হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মাজার জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা। পরে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাতে রাষ্ট্রপতির দেওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেন শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর