মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে শেখ হাসিনার মধ্যস্থতা চান আদভানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিল্লি থেকে

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে শেখ হাসিনার মধ্যস্থতা চান আদভানি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের অবসানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যস্থতা চেয়েছেন বিজেপি নেতা ও ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি। গতকাল নয়াদিল্লি সফররত শেখ হাসিনার জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতীয় জনতা পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান আদভানি এ প্রস্তাব রাখেন। দিল্লির ইম্পেরিয়াল হোটেলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতের রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আদভানি বলেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নে শেখ হাসিনা সহায়তা করতে পারেন। এই অঞ্চলের সবার মধ্যে যেন স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক হয়। শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষ দিন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন আদভানি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের আরও উন্নয়ন ঘটবে। বিজেপি নেতা আদভানি বলেন, আমাদের এক প্রতিবেশী, যারা স্বাধীনতার আগেও ভারতের অংশ ছিল, আমি চাই, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যাক। তিনি বলেন, তারা ভারতেরই অংশ ছিল। ওখানে আমার জন্মস্থান। সিন্ধু আমার জন্মস্থান। কিন্তু এখন তারা ভারতের সঙ্গে নেই, এটা আমার দুঃখ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসা করে আদভানি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নেও তার মধ্যস্থতা চান। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন এবং শাল পরিয়ে দেন। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক নির্মলা সীতারাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানানোর এই অনুষ্ঠানকে একটি ‘শুভ মুহৃর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করে আদভানি বলেন, সব সময় এ রকম মুহৃর্ত আসে না। আমার জানা নেই, আমাদের কোনো প্রতিবেশী দেশের নেতা আমাদের সঙ্গে এত সময় কাটিয়েছেন কিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৫ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার পরিবার নিয়ে ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটান। সে সময় আমার ঠিক পাশের বাসাতেই শেখ হাসিনা থাকতেন। উনাকে সম্মান জানাতে পারা আমার জন্যও সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য তাকে নিজের দেশেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর