মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
ভুটান যাচ্ছেন আজ

প্রধানমন্ত্রীর হাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট রেপ্লিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর রেপ্লিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রেপ্লিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে           এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরে এটি উেক্ষপণ করা হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উেক্ষপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ স্যাটেলাইট উেক্ষপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।

ভুটান যাচ্ছেন আজ : ভুটানে অটিজমের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থিম্পুতে ‘অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’ শীর্ষক তিন দিনের এ সম্মেলন আগামীকাল শুরু হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক ও প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা দ্রুক এয়ারের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়বেন। তিনি ভুটানের রাজধানীতে প্যারো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছবেন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে।

সফরকালে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, সফরকালে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও এমওইউ সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অটিজম বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ভুটানে অটিজম সচেতনতা সম্মেলনেও সায়মা ওয়াজেদ যোগ দিচ্ছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এ সময় তাকে আনুষ্ঠানিক খাদার (স্কার্ফ) উপহার দেওয়া হবে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে এবং তিনি গার্ড পরিদর্শন করবেন। বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। প্রাসাদের মূল ফটকে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। প্রাসাদে ভুটানের রাজা ওয়াংচুক ও রানী জেটসান পেমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে। এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হেজোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করবেন। পরে তিনি ভুটানের রাজা ও রানীর দেওয়া এক ব্যক্তিগত ভোজে যোগ দেবেন। তিন দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে সূচনা ফাউন্ডেশন (সাবেক গ্লোবাল অটিজম), অ্যাবিলিটি ভুটান সোসাইটি (এবিএস) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কার্যালয়।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘এএসডি ও অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যায় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য কার্যকর ও টেকসই বহুমুখী কর্মসূচি’।

সর্বশেষ খবর