মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঐক্যবদ্ধ হলে অপশক্তি ক্ষমতায় থাকবে না

মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নেত্রকোনায় গিয়ে মানুষের সাড়া দেখে এই বিশ্বাস জন্মেছে যে, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে কোনো অপশক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির নিখোঁজ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর গুমের পাঁচ বছর পূর্তির দিনে ‘সিলেট বিভাগ সংহতি সম্মিলনী, ঢাকা’ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু ইলিয়াস আলী নন, আমাদের ২ হাজারের অধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। ঢাকা মহানগরে প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীসহ ৫০০ জনের অধিক গুম করা হয়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন। আমাদের বিশ্বাস, ইলিয়াস আলী আছেন, ফিরে আসবেন। তার পথ অনুসরণ করে বিপ্লবী চেতনায় আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’ সংগঠনের সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, দিলদার হোসেন সেলিম, কলিম উদ্দিন মিলন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, সুলতানা আহমেদ, হেলাল খান, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু প্রমুখ। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা মঞ্চে থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি। আয়োজকদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা ইলিয়াস আলীকে গুম করার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যান। আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।’ তিনি স্বীকার করে বলেন, ‘ইলিয়াস ইস্যুতে আমরা আরও শক্ত ভূমিকা নিতে পারতাম। তাকে গুম করার পর যে অবরোধ ডাকা হয়েছিল তা সফল ছিল। এরপর কেন জানি আস্তে আস্তে থিতিয়ে গেলাম।’ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিস্তার পানি আনার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। কারণ, তাদের কোনো গণভিত্তি নেই। দরকষাকষি করার ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হলে অন্য চুক্তিও হবে না।’ মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার আগে বিএনপির ১৫০ জন নেতার নামসহ একটি তালিকা ছড়ানো হয়েছিল। ইলিয়াস গুম হওয়ার পর থেকে এই ১৫০ জন একসঙ্গে আর বসেন না। এর পর থেকে বিএনপিতে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, এটাই তাদের সার্থকতা।’ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে গেলেন, তখন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু আসার সময় তো আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে আসেননি।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত গেছেন, না ভাইয়ের বাড়িতে বোন গেছেন।’

সর্বশেষ খবর