শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

দলাদলিতে স্থগিত বিএনপির শতাধিক বুদ্ধিজীবীর বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন ‘শত নাগরিক কমিটি’র পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে। আজ রাতে এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এর আগে দুপুরে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে তাদের নিজেদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পেশাজীবীদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আর দলাদলির কারণে এ বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে।

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনিবার্য কারণে আমাদের শনিবারের (আজ) কর্মসূচি স্থগিত করেছি। পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নতুন দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।’ জানা যায়, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে জাতীয়তাবাদী চেতনার শিক্ষক, চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবীসহ শতাধিক বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ। বিএনপিপন্থি একাধিক বুদ্ধিজীবী জানান, ‘শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৈঠক করে দিকনির্দেশনামূলক একটি প্রস্তাব তৈরির সিদ্ধান্ত ছিল। রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। সেখানেই প্রস্তাবসমূহ খালেদা জিয়াকে লিখিত আকারে দেওয়ার কথা। কিন্তু পেশাজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আর দলাদলির কারণে এ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাদের ফোনে কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপিপন্থি একাধিক বুদ্ধিজীবী জানান, যাদের দ্বন্দ্বের কারণে এ কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে তারা এখন একজন আরেকজনকে ঘায়েল করতে সরকারের এজেন্ট হিসেবে আখ্যা দিতে শুরু করেছেন। এতে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের মাত্রা আরও চরমে। উভয় পক্ষ থেকেই একে অন্যকে দায় দিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডকে জানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ‘শত নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, শতাধিক লোকের বৈঠক হবে। কিন্তু পরে জানানো হয়, বৈঠক স্থগিত করতে হবে। তাই হয়েছে। আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘এখানে দ্বন্দ্বের বিষয়টি আসবে কেন। যারা এর সঙ্গে যুক্ত তারা সবাই সমাজের উঁচুস্তরের। আসলে প্রতি মাসেই আমরা কোথাও না কোথাও বসি। এবার সিদ্ধান্ত ছিল ঢাকার বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে বসার। কিন্তু সেটা জনসম্মুখে নিয়ে আসায় সিনিয়ররা একটু বিরক্ত হয়েছেন। আর ড. এমাজউদ্দীন স্যারের শরীরও ভালো যাচ্ছে না; যার কারণে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর