আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কী ঘটিয়ে ফেলে বলা যায় না। বিএনপি বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো বেপরোয়া রাজনীতিক হয়ে রাজনৈতিক দুর্ঘটনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই কোন সময় কোনটা ঘটিয়ে ফেলে বলা যায় না। তিনি গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি ‘জঙ্গিদের পেছনে কারা’ প্রশ্ন রেখে বলেন, সিলেট, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ঢাকার আশকোনা, কল্যাণপুরে যা যা হয়েছে—তার পেছনে কারা? তারা বিএনপি। ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ হলে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে আমরা কাউকে রেহাই দেব না। ছাত্রলীগের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নেত্রী আমাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। ছাত্রলীগকে আবারও বলছি— খারাপ খবরের শিরোনাম নয়, সুনামের ধারায় ফিরে আস। ভালো খবরে আস, তা না হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা আমরা নেব। ‘গুটি কয়েকের জন্য গোটা দলকে নষ্ট হতে না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে স্বার্থরক্ষার পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। ছোটখাটো ভুলত্রুটি ঘরোয়াভাবে বসে সমাধান করুন। কথায় কথায় মুখোমুখি, কথায় কথায় মারামারি, কথায় কথায় খুনোখুনি নয়। তাতে আপনাদেরও ক্ষতি হবে ছাত্রলীগেরও ক্ষতি হবে। ঘরের মধ্যে আর ঘর তৈরি করবেন না। তিনি উল্লেখ করেন, আগামী নির্বাচনে প্রধান প্রতিপক্ষ হবে আওয়ামী লীগ। বিএনপি হবে না। তা-হলে কেউ আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন না। এখানে ফুল নিতে আসিনি, রাজনৈতিক ভাষণ শুনতে আসিনি। তৃণমূল হতে ওপরের পর্যায় পর্যন্ত নেতাদের খুশি করার আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়। প্রতিনিধি সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দিদারুল আলম এমপি ও মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি।