বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

মজার আলোচনায় ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট

প্রতিদিন ডেস্ক

মজার আলোচনায় ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট

৩৯ বছরের ইমানুয়েল ম্যাকরোঁর। ফ্রান্সে এবারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। শুধু প্রার্থীই নন, ৭ মে দেশটির দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়লাভ করবেন বলেই বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন। এই ইমানুয়েলের না কী ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল দুটি। এর একটি নাটকের শিক্ষককে বিয়ে করা, অন্যটি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হওয়া। আর সে জন্যই সে সময় লোকজন ইমানুয়েলকে পাগল বলতেও ছাড়েনি। তবে তার সেই স্বপ্ন কিন্তু মিথ্যা হয়ে যায়নি। প্রথম স্বপ্নটি অনেক আগেই পূরণ করেছেন। বিয়ে করেছেন অসম বয়সী স্কুলশিক্ষিকা ব্রিজিত থনিওকে। ১৮ বছর বয়সে ব্রিজিতের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন ইমানুয়েল। ২০০৭ সালে ব্রিজিতকে বিয়ে করেন ইমানুয়েল। সে সময় ইমানুয়েলের ৩০ বছরের বিপরীতে ব্রিজিতের বয়স ছিল ৫৫। এখন ইমানুয়েলের বয়স ৩৯ আর স্ত্রী ব্রিজিতের বয়স ৬৪। এই অসম বয়সের বিয়েই এখন ফ্রান্সজুড়ে আলোচনার বিষয়। আর আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটে জয়ী হলে তার দ্বিতীয় ইচ্ছাটিও পূরণ হবে। ফ্রান্সে গত রবিবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মধ্যপন্থি নেতা ইমানুয়েল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থি নেত্রী মারি লো পেন পেয়েছেন ২১ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। এর মধ্যে প্রথম দফা নির্বাচনে পরাজিত অন্য প্রার্থীসহ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওঁলাদ ইমানুয়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন। ডেইলি মেইলের কলামিস্ট জ্যান মইরকে লেখা এক চিঠিতে বিয়ে ও বিভিন্ন অভিব্যক্তি নিয়ে কথা বলেছেন ইমানুয়েল। তিনি জানান, মাত্র ১৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী শিক্ষিকা ব্রিজিতের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিন্তু প্রথম দেখাতেই বয়সে দ্বিগুণের বেশি বয়সের ব্রিজিতকে ভালো লেগে যায়। যদিও ব্রিজিতের মেয়ে তখন ইমানুয়েলের ক্লাসমেট। তারপরও শিক্ষিকার জন্য হৃদয় আটকে থাকে। কিন্তু ব্রিজিত তার মানসিকতা বুঝতে পেরে প্রথম প্রথম অসম বয়সী প্রেমের বেদনাদায়ক পরিণতির বিষয়ে ইমানুয়েলকে সতর্ক করতেন। কিন্তু ইমানুয়েল নাছোড়বান্দা। একপর্যায়ে ব্রিজিতকে বিয়ের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন ইমানুয়েল। ১৮ বছর বয়সে ব্রিজিতের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম শুরু করেন ইমানুয়েল। ২০০৭ সালে ব্রিজিতকে বিয়ে করেন ইমানুয়েল। ইমানুয়েল জানান, ৪০ বছর বয়সে আগের স্বামীপক্ষের তিন সন্তান থাকার সময়ে ব্রিজিতের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। তার সঙ্গে প্রেম না টিকতে মা-বাবা তাকে (ইমানুয়েল) নিজ এলাকার বাইরে প্যারিসে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরও সব বাধা কাটিয়ে একদিন তার হাত ধরে পালিয়ে যান ব্রিজিত। এভাবেই অসম বয়সী একটি পরিণয় লাভ করে প্রণয়। প্রথম স্বপ্ন পূরণ হয় ইমানুয়েলের। দ্বিতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে এক চুল দূরে তিনি। আর তা সম্ভব হলে অভূতপূর্ব এক ফার্স্ট লেডিকে দেখবে বিশ্ব।

সর্বশেষ খবর