রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রতিবাদ সমাবেশে ঘোষণা

পনের লাখ মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তারা চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

পনের লাখ মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তারা চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবেই

রাজধানীর বাড্ডার আলাতুন্নেছা স্কুলে গতকাল বিভিন্ন মৌজার ১৩৮৫.২৮ একর জমি অবমুক্তির দাবিতে বসতভিটা উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাপ-দাদার বসতভিটা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বাড্ডা, ভাটারা ও খিলক্ষেত এলাকার ১৫ লাখ মানুষ। তারা তাদের বাপ-দাদার বসতভিটার বিরুদ্ধে আমলাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবেনই। জীবন দিয়ে হলেও বাপ-দাদার বসতভিটা রক্ষা করবেন। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ে বাড্ডা, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানা এলাকার ১৩৮৫.২৮ একর জমি হুকুমদখলের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বসতভিটা উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম নেতা আলহাজ আবদুর রশিদ। বক্তৃতা করেন ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গনি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জিন্নাত আলী, ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমেদ নূর সাগর, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান ধনু, শামসুজ্জামান, মো. লতিফ মিয়া, মো. ফজলুল হক, ভাটারা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসহাক মিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি মো. আবুল হোসেন, জাতীয় পার্টির নেতা আনিসুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সদস্য হাবিবুর রহমান সাচ্চাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনবান্ধব, গণমানুষের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছেন। অথচ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টিতে কিছু কুচক্রী আমলা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ১ লাখ ৮০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। রাজধানীর গরীর জোয়ার সাহারা, এল এ কেসে উলুন, ভোলা, সুতিভোলা শাহজাদপুর, খিলক্ষেত, নূরের চালা, কুড়িল, ভাটারা, নয়ানগর, কালাচাঁদপুর, জগন্নাথপুর, নর্দা, কুড়াতলী ও বাড্ডার ১৫ লাখ বাসিন্দা যে কোনো কুচক্রীর তৎপরতা রুখে দেবেন। আমাদের কেউ রোহিঙ্গা, উদ্বাস্তু কিংবা বিহারি মনে করলে ভুল করবেন। আমরা এখানকারই স্থায়ী বাসিন্দা। যে কোনো মূল্যে ঢাকার ডিসি ও রাজউকের চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্রমূলক উদ্যোগ প্রতিরোধ করবই।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২০০০ সালের ১২ মার্চ ১১৭ স্মারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রে ‘এসব এলাকার জমির খাজনা এবং নামজারির বিষয়ে আপত্তি করা হয়েছে। এ কারণে উক্ত এলাকার অধিগ্রহণকৃত জমির অবমুক্তকরণ গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত খাজনা কিংবা নামজারি কার্যক্রম করা যাবে না।’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন এই এলাকার বাসিন্দারা।

সর্বশেষ খবর