সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভ্যাট আইনে আবাসন মুখ থুবড়ে পড়বে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্যাট আইনে আবাসন মুখ থুবড়ে পড়বে

ঢাকা ক্লাব অডিটরিয়ামে গতকাল এক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাস্তবায়ন হলে দেশের আবাসন খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজধানীসহ উপজেলা পর্যায়ে সবার জন্য আবাসন গড়তে হলে এ ভ্যাট আরোপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে একটি ক্লাবে ‘জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (সিসিএন) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নতুন আইন অনুসারে সব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশে এ ধরনের পদ্ধতি নেই। বাংলাদেশে আবাসন সমস্যা প্রকট। রাজধানীর অধিকাংশ মানুষের নিজস্ব আবাসন নেই। দরিদ্র মানুষের এ সমস্যা আরও ভয়াবহ। সেখানে আবাসন খাতের ওপর যে হারে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে তা বাস্তবসম্মত হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘করের আওতা না বাড়িয়ে ভ্যাট বা ট্যাক্স বাড়ালে সমাধান হবে না। ১৬ কোটি জনগণের দেশে মাত্র ১২ লাখ করদাতা রয়েছে। বাকিরা ফ্রি থাকবে তা হতে পারে না। তাই করের আওতা বাড়াতে হবে। আমি মনে করি, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরও করবান্ধব হওয়া দরকার।’ মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থায় সরকার কাজ করছে, কেউ গৃহহীন থাকবে না। ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছে। ঝিলমিল প্রকল্পে ১৩ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট, পূর্বাচলে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে দৈনিক হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৫৫০ বর্গফুটের মতো। আলাদা টয়লেট, রান্নাঘর ও ওয়াশিং ব্যবস্থা থাকবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ অ্যাপার্টমেন্ট করা হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ১০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করা।’ তিনি বলেন, ‘রাজউক, সিডিএসহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলো ভবিষ্যতে যেসব প্লট বরাদ্দ দেবে, এর সবগুলো হাইরাইজ হবে, অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স থাকবে। আমাদের শুধু শহরের দিকে নজর দিলেই চলবে না, গ্রামেও পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সরকারও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের নিবন্ধন অফিসগুলো একটা ভৌতিক স্থান। কোনো একটা সম্পদ নিবন্ধন করতে গেলে কমপক্ষে এক লিটার ঘাম ঝরাতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘কেন করদাতার সংখ্যা বাড়াতে পারছে না এনবিআর। সে প্রশ্ন করা হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর