বুধবার, ১০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেদক

ময়মনসিংহে পথচারী হারুন-অর রশীদ হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূরউদ্দিন আহম্মদ নুরুসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার ২৭ বছর পর এই হত্যা মামলার রায় হলো। রায় ঘোষণার পর আদালত জামিনে থাকা নূরউদ্দিন আহম্মদসহ তিন আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। অন্যরা হলেন, আশরাফুল হক ও আবদুর রশিদ। আদালত বাকি পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার ২৭ আসামির ২৪ জনই পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিরা গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে এ রায় কার্যকর হবে। ময়মনসিংহ আদালতে মামলাটি ১৯ বছর ঝুলে ছিল। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিচারের জন্য ময়মনসিংহ আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা হলেন, ওমর ফারুক, লিংকন, জালাল, সৈয়দ শামিম হোসেন, রহিম আহম্মদ, শামছুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরফানুর রহমান খান, সোলায়মান, জাহিদ, সাফায়াত উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম রব, শিশির চৌধুরী, অ্যাপোলো হোসেন, আসলাম, ইলিয়াস হোসেন, হারুন মোহাম্মদ, লিয়াকত আলী, কাঞ্চন মিয়া, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিছুর রহমান ও আবু তাহের। আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে ফ্রিডম পার্টির হামলায় পথচারী  হারুন-অর রশীদ  নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল মোড়ে একটি চায়ের দোকানে ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর জয়নাল, মেজর বজলুল হুদা ও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গুলি চালান ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে পথচারী ও স্থানীয় সেহড়া এলাকার তরুণ হারুন-অর রশীদ মারা যান। এ ছাড়া পথচারী জহুর আলী, মাহবুবুল, রামচন্দ্র, শামীম ও লিটন গুলিবিদ্ধ হন। আসামিরা গুলিবর্ষণের পর প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় বজলুল হুদাসহ ফ্রিডম পার্টির ৩০ নেতা-কর্মীকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকায় আটক করা হয়। পরে ঘটনার তদন্ত করে একই বছরের ১০ জুলাই প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বজলুল হুদাকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বজলুল হুদার নাম এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর