বুধবার, ১০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
আরব ইসলামিক-আমেরিকান সামিট

প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহর আমন্ত্রণ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের নিয়ে ‘আরব ইসলামিক-আমেরিকান সামিট’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে স্বাগতিক সৌদি আরব। সৌদি বাদশাহ এবং মুসলমানদের দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সালমান বিন আবদুল আজিজ আস সৌদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবের সংস্কৃতি এবং তথ্যবিষয়ক মন্ত্রী ড. আওয়াদ বিন-সালেহ-আল আওয়াদ গত রাতে ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। ২১ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে উপস্থিতির বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন মর্মে বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী ড. আওয়াদও আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে জঙ্গিবাদের বিষয়টি এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু বাংলাদেশ যে এর মোকাবিলা করছে তা নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তার সরকার দেশে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ক্ষত দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এবং তারা আমাদের প্রতিটি কাজেই সহযোগিতা করছেন। এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে চিরবিদায় জানাতে হলে এর অর্থ এবং অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং গুটিকতক লোকের খারাপ কাজের জন্য সমগ্র বিশ্বে ইসলামের বদনাম হচ্ছে। সৌদি মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসের কারণে গত কয়েক বছরে ইরাকে ৯ লাখ এবং সিরিয়ায় ৬ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই সময়ে বাস্তুহারা হয়েছে এ অঞ্চলের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতায়ইরি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রের খবর, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষের চলমান যুদ্ধের নতুন ও জটিল মাত্রা নিয়ে আসা এ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের বেশির ভাগ নেতাকেই এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সৌদি আরবের আইএসবিরোধী সামরিক জোটে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে। তবে এই সামরিক জোটে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর