শিরোনাম
রবিবার, ১৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচনী রোডম্যাপে ২৩ এজেন্ডা

আজ বৈঠকে বসছে ইসি

গোলাম রাব্বানী

আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে থাকছে ২৩টি এজেন্ডা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজই এ নিয়ে বৈঠকে বসছে। রমজানের পরপর জুলাই থেকে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হবে। মধ্য জুলাইয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপও করতে চায় ইসি।

রোডম্যাপে থাকছে : ভোটার তালিকা প্রস্তুত; নির্বাচনী আইন সংস্কার; রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, সাংবাদিক ও এনজিগুলোর সঙ্গে সংলাপ; ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ; নতুন দলের নিবন্ধন এবং নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল মেশিন বা ডিভিএম-ইভিএম প্রস্তুতের মতো কাজ। এসব কাজের টাইমফ্রেম নির্ধারণসহ তৈরি করা হয়েছে নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া। ইসির বৈঠকে রোডম্যাপ ছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির  প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইসি। সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের। ভোট গ্রহণের জন্য তাদের দেওয়া হবে নানা ধরনের প্রশিক্ষণও। রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপের কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘অ্যাকশন প্ল্যান বা রোডম্যাপ তৈরি করছে ইসি সচিবালয়। আমরা এটা নিয়ে বসব, চূড়ান্ত করে কাজ শুরু হবে। রোডম্যাপ ধরেই এগোব। সবার মতামত নেওয়া হবে। মধ্য জুলাইয়ে সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে।’

কী থাকছে রোডম্যাপে : রোডম্যাপে অগ্রাধিকার পাচ্ছে— ১. নির্বাচনী আইনের সংস্কার। ২. সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ। ৩. নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন। ৪. ভোটার তালিকা প্রস্তুত। ৫. ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত। ৬. রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ। ৭. ডিজিটাল ভোটিং মেশিন প্রস্তুত। এ ছাড়া আগামী দিনে ইসির বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনাও রাখা হবে রোডম্যাপে। সংলাপে নির্বাচনী আইন সংস্কারের বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। এরপর আগস্টে প্রস্তাবিত আইন-বিধির খসড়া তৈরি ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে সব আইন-বিধি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে জিআইএস-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। সব আসনের সীমানা নির্ধারণ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চায় কমিশন। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারিতে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পন্ন এবং ভোটের জন্য ডিজিটাল মেশিন প্রস্তুতের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। রোডম্যাপে এ ছাড়া ভোট কেন্দ্রে প্রস্তুত, মালামাল সংগ্রহ, ভোটের আগে দ্বিতীয় দফায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপসহ বেশকিছু বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর