শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
রাজনীতির নতুন মেরুকরণ

বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে : মির্জা ফখরুল

মাহমুদ আজহার

বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে : মির্জা ফখরুল

‘দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সংলাপ-সমঝোতায় বসতে হবে। সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, এরশাদ কখনই ‘বিকল্প’ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হবে না, হতে পারে না। আওয়ামী লীগ এমন একজন লোকের সঙ্গে ঐক্য করেছে, যাকে দেশের মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি সব সময়ই ভোটের জন্য প্রস্তুত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যেতে চায়। এ জন্য প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। ক্ষমতাসীনদের আমরা বারবার বলছি, এখনো সময় আছে আসুন, সংলাপ-সমঝোতার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করি। জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি চলমান রাজনীতি, দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও ভিশন-২০৩০ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে তারও ব্যাখ্যা দেন সাবেক এই মন্ত্রী। তার আলাপচারিতার বড় অংশজুড়েই ছিল ‘ভিশন-২০৩০’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষকে স্বপ্ন দেখাব, নিজেরাও দেখব’— এটাই আমাদের ভিশন-২০৩০ এর মূল লক্ষ্য। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এখন গুণগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন প্রজন্ম এসেছে। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষ এখন বেশ রাজনীতি সচেতন। ঘুণে ধরা নয়, ভিন্নধারার রাজনীতি দেখতে চায় তারা। মারামারি-হানাহানি, প্রতিহিংসা ও ঝগড়া-বিবাদমুক্ত রাজনীতি দেখতে চায় নতুন প্রজন্ম। রাজনীতিতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চায় না। তারা চায় সুস্থ ধারার রাজনীতি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রজন্মকে সামনে রেখেই এই ভিশন-২০৩০। তরুণ প্রজন্মকে নিয়েই আমাদের পথ চলা। আগামীতে আমরা দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে এ ভিশন বাস্তবায়ন করবই ইনশাল্লাহ। রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করা উচিত মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অন্ধকার অতীত থেকে বেরিয়ে এসে আলোর পথে যেতে চাই— এটাই সবার ভিশন হওয়া উচিত। সরকারকে বলব, আসুন, অতীত বাদ দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করি। দুঃখজনক হলো, সরকার তা প্রত্যাখ্যান করছে। তারা ভিন্নমত ধারণই করতে চায় না। কিন্তু গণতন্ত্রে আলোচনা ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সংলাপের মাধ্যমেই আমাদের একটি জায়গায় পৌঁছাতে হবে, যেখানে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আজ প্রয়োজন নেলসন ম্যান্ডেলার ‘রেইন বো’ সোসাইটি বা মাও সেতুং-এর ‘শত ফুল ফুটতে দাও’ থেকে  শিক্ষা নেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ড্রিম ভিশন-২০৩০। অতীত রাজনীতিতে অনেক কিছুই খারাপ হয়ে গেছে বলে, ভবিষ্যতে আমরা সামনে ভালো কিছু করব না কিংবা ভালো স্বপ্ন দেখব না—তা ঠিক নয়। আমরা বলছি, পারসেপশন বদলাতে হবে। রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অনেকেরই খারাপ ধারণা তৈরি হয়ে গেছে। এটা পরিবর্তন করতে হবে। সব দলকে ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে, দলের ভিতরে-বাইরে গণতন্ত্র নেই। এটা ঠিক নয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন। এরপর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গণরায় নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থেকেছেন। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে বাংলাদেশে। সুতরাং বিএনপিকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’ নির্বাচন না আন্দোলনের জন্য ভিশন-২০৩০— এমন প্রশ্নে বিএনপির ক্লিন ইমেজের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি রাজনৈতিক দলকে দুটোর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হয়। অতীতে দেখা গেছে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে রাজনৈতিক ইস্যুতে আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় হয়নি। সেই ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। নির্বাচনের জন্য তো প্রস্তুত থাকতেই হবে। কারণ নির্বাচন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনার কথা চিন্তাই করতে পারে না। বিএনপি দুটোর জন্য সব সময়ই প্রস্তুত।’ অনেকেই বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মূল শক্তি জামায়াত? এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দুঃখজনক হলো এটা গণমাধ্যমের ধারণাপ্রসূত কথা। অতীতে বিএনপি যে কোনো নিবার্চনে অন্তত ৩৩ ভাগ ভোট পেয়েছে। জামায়াত পেয়েছে মাত্র ৩ ভাগ। তাহলে কীভাবে আন্দোলনের মূল শক্তি হতে পারে জামায়াত? এই ধারণা তৈরি করা হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। এ নিয়ে একটি মহল ক্যাম্পেইন করছে। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট আদর্শিক নয়, আন্দোলনের জোট। এখনো তাদের সঙ্গে  সেই জোট রয়েছে। একইভাবে ২০ দলের সঙ্গেও জোট হচ্ছে আন্দোলনের। আজ আওয়ামী লীগ এত কথা বলে, তারাও তো এক সময় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করলে যে আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে জোট করবে না, তারই বা গ্যারান্টি কী? আমরা রাজনীতি করছি, নিজস্ব ঘোষণাপত্রের আলোকে। তারা (জামায়াত) রাজনীতি করছে, তাদের ঘোষণাপত্র দিয়ে। তাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শের মিল নেই।’ সামনে তো বিএনপি সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবে। এটা নিয়ে আন্দোলনে যাবে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,  ‘বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা নিয়ে আন্দোলনেই রয়েছে। তবে চূড়ান্ত আন্দোলন বলে-কয়ে হয় না। এটা নির্ভর করে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন এক বছর দুই বছর পরপর হতেই থাকে। একপর্যায়ে এক যুগ পর আন্দোলন সফল হয়। একইভাবে এরশাদের বিরুদ্ধে ৯ বছর পর আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলন সফলে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। জনগণ সত্যিকার অর্থে যখন রাস্তায় নেমে পড়বেন, তখন আন্দোলন সফল হবেই।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মূল কারণই হচ্ছে নির্বাচন। এ ইস্যুতেই গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ব্যাহত হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে। ’৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, আওয়ামী লীগ তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্ব নিয়ে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। তখন আমরা জনগণের কথা মাথায় রেখেই সংসদে সংবিধান সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এনেছিলাম। একটিই কারণ ছিল, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। দুঃখজনক হলো, সেই আওয়ামী লীগই জনমতকে তোয়াক্কা না করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।’  তিনি বলেন, ‘অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিনটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো প্রশ্ন ছিল না। কী ঘটল যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিবর্তন করা হলো। তারা আদালতের রায়ের যুক্তি দেখিয়েছিলেন। কিন্তু রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আরও দুই মেয়াদে সে ব্যবস্থায় নির্বাচন করা যেতে পারে। এমনকি পার্লামেন্টারি কমিটিতে সব দলের মতো আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষেই মত দেয়। আমি মনে করি, দেশে এখন যত রাজনৈতিক সহিংসতা, অনিশ্চয়তা বা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলকে ঘিরে। এতে দেশের কোনো উপকার হয়নি। ক্ষতি হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি, এখানে গণতন্ত্র কাজ করতে পারে না। একনায়কতন্ত্রের জন্ম নেয়। এখন যেটা চলছে। এরূপ অবস্থার অবসানকল্পে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতে চাই। আমরা গণভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এটাও জাতীয় ইস্যু। সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনে গণভোট জরুরি বলে আমরা মনে করি। এই সরকার জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। প্রতিটি ইস্যুতেই আজ জাতি বিভক্ত। সব ক্ষেত্রেই তা ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এটাকে এক জায়গায় করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এত ক্ষমতা ছিল না, যতটা এখনকার প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে। আমরা ভিশনে বলেছি, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চাই, যেটা এখন নেই। কারণ, এখন যে সংসদ তা জনগণের ভোটে হয়নি। ১৫৪ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিগুলোতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাতে ৫ ভাগও ভোট পড়েনি। সুতরাং এই সংসদে জনগণের কোনো অংশগ্রহণই ছিল না। কোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় না। এই সরকার সংবিধান সংশোধন করে রেফারেন্ড পদ্ধতিও বাতিল করে দিয়েছে। এখন সংসদে চাটুকারিতা ছাড়া কোনো আলোচনা হয় না। কোনো বিরোধী দল নেই। যাদের বলা হয়, তারা সরকারেরই পার্ট। তাই জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চাই।’ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলছি না, এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারেই নির্বাচন হতে হবে। তবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন চাই। সেটা সহায়ক সরকারও হতে পারে, বা অন্য নামেও আসতে পারে। নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে সমস্যা হবে। কারণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের কথাই শুনবে। নিকট-অতীতে যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে ৯০ ভাগ নির্বাচন তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও আমাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বিএনপি যে ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে, সে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হতো।’ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে শিক্ষা নিতে সরকারকে আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, এত সমস্যার পরও গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। কারণ  হলো, সেখানে এখনো রাজনৈতিক নেতাদের ন্যূনতম সম্মান বা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। আর বাংলাদেশে একই মামলায় প্রধানমন্ত্রী খালাস পেলেও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। সরকার নিজেদের সাড়ে ৭ হাজার মামলা তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিরুদ্ধেও ছিল ১৫টি মামলা। বেগম খালেদা জিয়াকে ট্রায়াল ফেস করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে হতাশার সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। নতুন প্রজন্মের সব প্রত্যাশাকে বিনষ্ট করেছে। তারপরও সরকারকে বলছি, আসুন আমরা অতীত ভুলে যাই। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করি। নতুন করে চিন্তা করতে শিখি। নতুন স্বপ্ন দেখি। নতুন প্রজন্মকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করি। সারাক্ষণ আপনি ভিন্নমতকে পদদলিত করবেন, নির্যাতন-নিপীড়ন চালাবেন তা হতে পারে না। ভিন্নমত না থাকলে গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে উঠবে না। একনায়কতন্ত্র সৃষ্টি হবে। তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।’ সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’ কবিতার দুটি লাইন আবৃত্তি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদিও সন্ধ্যা, আসিছে মন্দ মন্থরে, সব সংগীত ইঙ্গিতে গেছে থামিয়া, তবু বিহঙ্গ ওরে বিহঙ্গ, এখনই অন্ধ, বন্ধ করো না পাখা।’

সর্বশেষ খবর