শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

নাম হতে পারত বাল্যবিবাহ জায়েজ আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাম হতে পারত বাল্যবিবাহ জায়েজ আইন

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর বিশেষ ধারার বিষয়ে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, এ আইনের দ্বারা বাল্যবিবাহকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এই বিশেষ প্রেক্ষাপটের কোনো ব্যাখ্যা নেই। একে যে কেউ যে কোনো প্রেক্ষাপট বানিয়ে ব্যবহার করবে। এর নাম হতে পারত বাল্যবিবাহ উদ্বুদ্ধ বা জায়েজ আইন।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক নারী       সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম বাল্যবিবাহের বিশেষ বিধান বাতিলের দাবিতে এই নারী সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ পাস হয়। সেখানে ১৯ দফায় বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশক্রমে এবং মাতা-পিতার সম্মতিক্রমে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে সম্পাদিত হলে তা এই আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে না। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আইনটিকে বাল্যবিবাহ স্বীকৃতি প্রদান আইন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের বলা হয়, আমরা গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন। কিন্তু আমরা গ্রামে বড় হয়েছি, গ্রামের পরিস্থিতি জানি।’ তিনি আরও বলেন, আইনটি দ্বারা বুঝিয়ে দেওয়া হলো, ধর্ষণের ফলে কোনো মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হলে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে না। সমাবেশে উপস্থিত নারীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহ রোধের জন্য আহ্বান জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা নূরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, সিপিবি নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তী এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবীব।

সর্বশেষ খবর