সোমবার, ২২ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

শুনানিতে রাজনৈতিক বক্তব্য নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুনানিতে রাজনৈতিক বক্তব্য নয়

উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংক্রান্ত আপিলের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মামলার শুনানি গ্রহণ করে। শুনানির আগে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে বলেন, মামলাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোর্টকে অ্যাড্রেস করে বক্তব্য রাখবেন। রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবেন না, সাইড টক করবেন না।  কোর্টের ডেকোরাম মেইনটেইন করতে হবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আমরা এর আগে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছি। আপনি সাজেশন দিতে চাইলে বা আরও যোগ করতে চাইলে বিবেচনা করা হবে। আদালতে খোলা মন নিয়ে শুনানি হবে। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি সাজেশন দেব না। প্রধান বিচারপতি বলেন, এখানে সাংবিধানিক বিষয়ে শুনানি করতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্য শুনব না। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাংবিধানিকভাবে যদি বঙ্গবন্ধুর কথা চলে আসে তখন কী হবে? এ ছাড়া সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে পলিটিক্যাল বিষয়গুলো আসবেই। পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। শুনানি আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত এ মামলার শুনানিতে ১২ জন আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। সংবিধান সংশোধনীর বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাই কোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানির পর ষোড়শ সংশোধনী কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করে। রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে দেওয়া রায়ে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্ট। হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এখন সেই আপিলের ওপর শুনানি চলছে।

সর্বশেষ খবর