টাওয়ার ভেঙে যাওয়া, গ্যাস স্বল্পতা এবং ১০টি বিদ্যুেকন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণে থাকায় কয়েকদিন গ্রাহকদের চাহিদামতো বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে আগামী চার দিনের মধ্যে। এ সময়ের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গতকাল সচিবালয়ে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা উচিত। লোড ম্যানেজমেন্টে লোডশেডিং সমানুপাতিক হারে করতে হবে। গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লানের আওতায় অ্যাকশন প্ল্যান করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, প্রতিটি বিতরণ সংস্থার চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা প্রয়োজন। লোডশেডিং করতে হলে পূর্বেই গ্রাহকদের জানাতে হবে। তিনি রোজার সময় সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার এবং মন্ত্রণালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশনা দেন। উন্নত ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গ্রাহকদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে বিতরণ সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান। সভায় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণরত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য যুগ্মসচিব শেখ ফয়েজুল আমীন এবং এলএনডিসি বিতরণ সংস্থাগুলোকে কিভাবে এবং কি পরিমাণ বিদ্যুৎ দিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য যুগ্মসচিব এ কে এম হুমায়ূন কবীরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনসহ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।