শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিনিয়রের কথা শুনবে না, তা কাম্য নয়

------- হাদিস উদ্দিন

সিনিয়রের কথা শুনবে না, তা কাম্য নয়

পুলিশের সাবেক আইজি হাদিস উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কীভাবে চলবে তা দ্য গভর্নমেন্ট  সার্ভিস রুল-১৯৭৯ এ বিস্তারিত দেওয়া আছে। তাতে দায়িত্বরত অবস্থায় তাদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও যদি কেউ এ কাজে জড়িত হয়, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে তখন এ ধরনের কর্মকর্তা কমে যাবে। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবে একজন থানার ওসি তার সিনিয়র কর্মকর্তার কথা শুনবে না, তা হতে পারে না। এতে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়বে। এজন্য ওই ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় একজন ওসি রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুযোগ নিয়ে ব্যাপক দাপট দেখায়। প্রশাসনের কাছে দল-মত-নির্বিশেষে সবারই সমান অধিকার। এ ব্যাপারেও সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’ সাবেক আইজিপি হাদিস উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পার্টিবাজিতে না জড়ানোর জন্য সরকারকেই বেশি উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর তো অভাব নেই। তাহলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেন জড়াতে হবে? দায়িত্বে থেকে দলবাজি করেন, এমন সংখ্যা খুব একটা বেশি হবে না। এটা নিয়ন্ত্রণে আনাও সম্ভব। তবে এর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সতর্ক থাকলে এটা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসাও সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে স্বাভাবিকভাবেই একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তার মানে এই নয়, ওই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের অনুগত থাকবে। তবে তা হবে নিয়মতান্ত্রিক। নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নয়।’

সর্বশেষ খবর