শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

গ্রিক ভাস্কর্য অন্যত্র পুনঃস্থাপন করলে ফের আন্দোলন

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

গ্রিক ভাস্কর্য অন্যত্র পুনঃস্থাপন করলে ফের আন্দোলন

জুনায়েদ বাবুনগরী

উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক ভাস্কর্য অপসারণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। গ্রিক ভাস্কর্য অপসারণকে নিজেদের আন্দোলনের ফসল দাবি করে অপসারণ করা ভাস্কর্য কোথাও স্থাপন না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি। অপসারণ করা  ভাস্কর্য কোথাও স্থাপন করা হলেও ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আলোচিত এ সংগঠনের অন্যতম এই নেতা। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফাসহ অন্যান্য বিষয়েও কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে গ্রিক মূর্তি স্থাপন করে এদেশের মুসলমানদের অন্তরে আঘাত করেছিল সরকার। উচ্চ আদালতে গ্রিক মূর্তি স্থাপনের পর থেকে আমরা তা অপসারণের দাবি করে আসছি। আমাদের দাবির মুখে সরকার উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ করেছে। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনবিচ্ছিন্ন প্রগতিশীলদের অপপ্রচারে কান না দিয়ে এদেশের মুসলমানদের গণ দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। তাই এ দেশের ওলামায়ে কেরাম এবং তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’ উচ্চ আদালত থেকে অপসারণ করা গ্রিক ভাস্কর্য অন্য কোথাও স্থাপন না করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এ ভাস্কর্য বাংলাদেশের কোথাও স্থাপন করা হলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি। বাবুনগরী বলেন, ‘আমরা চাই না উচ্চ আদালত থেকে অপসারণ করা মূর্তি বাংলাদেশের আর কোনো জায়গায় স্থাপন করা হোক। আমাদের দাবি উচ্চ আদালত থেকে অপসারণ করা এ মূর্তি ধ্বংস করা হোক। এ মূর্তি বাংলাদেশের কোথাও পূর্ণ স্থাপন করা হলে প্রয়োজনে ফের কর্মসূচি দেব।’ ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তাদের এক হাত নিলেন বাবুনগরী। করেছেন তাদের সমালোচনাও। বাবুনগরী বলেন, ‘গ্রিক মূর্তিকে যারা বাঙালির সংস্কৃতি ও ন্যায় বিচারের প্রতীক মনে করে অপসারণের বিরোধিতা করছে তারা অজ্ঞ ও জনবিচ্ছিন্ন। তারা নিজেদের প্রচারণার জন্য এ অপসারণের বিরোধিতা করছে।’  অভিযোগ রয়েছে সরকার হেফাজতে ইসলামের দাবির মুখে পাঠ্য বইয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে, উচ্চ আদালত থেকে গ্রিক ভাস্কর্য অপসারণ করেছে। এ ছাড়া ইসলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারও করেছে। দাবি আদায়ে কতটুকু সফল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের প্রত্যেক দাবিই যৌক্তিক ছিল। আমাদের প্রত্যেক দাবিতেই দেশের জনগণের সমর্থন ছিল।  তাই সরকার দাবিগুলো মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।’ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির বিষয়ে এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘১৩ দফা আন্দোলন এখনো বহাল রয়েছে। প্রত্যেক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’ সরকারি জায়গা লিজ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার জন্য ওই জমির লিজ নেওয়া হয়েছে। এ জমি কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের জন্য নেওয়া হয়নি। একটি পক্ষ জমি লিজের বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর