শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তে ভাস্কর্য অপসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তে ভাস্কর্য অপসারণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকারের নির্দেশে নয়, প্রধান বিচারপতি নিজে     সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর মুক্তি দাবিতে ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। গত ১৮ মে ঢাকার সিএমএম আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত নাকচ করে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন বিএনপির এই নেতা। ‘বরকত উল্লাহ বুলু মুক্তি পরিষদ’ এর উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভূঁইয়া নান্টুর সভাপতিত্বে ও সভাপতি মাসুদ রানার পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূইয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কাজী আবুল বাশার, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ। বক্তাদের সবাই অবিলম্বে বরকত উল্লাহ বুলুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে তারা বলেন, কারাগারে বুলু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ভাস্কর্য সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে সভা করেন।  সেখানে আইনজীবীরা তাকে এটি সরানোর পরামর্শ দেন। কারণ এই ভাস্কর্য নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকুক বা প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করা হোক এটা আইনজীবীরা চান না। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালের মতো পুনরায় একক নির্বাচন করতে চায়। সরকার নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সব কমিশন নিয়ন্ত্রণ করছে।’ খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে তল্লাশির মাধ্যমে সরকার নতুন করে ফ্যাসিবাদীর পরিচয় দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। তাই তারা নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে।’ সরকার ভয়ে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছে না দাবি করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাদের দুর্বলতার পরিচয়। আগামীতে সভা-সমাবেশ করতে হলে প্রশাসনকে শুধু অবহিত করব, অনুমতি চাইব না।’

সর্বশেষ খবর