বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিলের আবেদন নাকচ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ হয়েছে।  এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলবে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ২২ মে খালেদার আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল আদেশের দিন ধার্য ছিল। প্রসঙ্গত, মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম বৈধ বলে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট রায় দেয়। ২০১৬ সালের ২৫ মে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্পাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। এ মামলায় ওই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন।