বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ষোড়শ সংশোধনী বহালের পক্ষে হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষোড়শ সংশোধনী বহালের পক্ষে হুদা

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। শুনানিতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর মতামত মহামান্য আদালত গ্রহণ করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই শুনানিতে আমি আমার মতামত প্রদানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারিনি। তবে জাতীয় এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিবেচনার জন্য আমার মতামত আপনাদের মাধ্যমে নিবেদন করতে চাই। আমি আশা করছি, আপিল বিভাগ অন্য সিনিয়র আইনজীবীদের মতামতের মতো আমার এই মতামতও বিবেচনায় আনবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের একটি পবিত্র উচ্চারণ। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার আরও সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সংবিধানের আর্টিক্যাল-৭-এ। যেখানে বলা হয়েছে জনগণই হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার মালিক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থায় প্রশাসন এবং বিচার উভয়ই ক্ষেত্রেই জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ক্ষমতার এই সার্বভৌমত্বের সংরক্ষক হচ্ছে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ, যে সংসদকে ‘হাউস অব নেশন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মতে, ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদেরই দেশ পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব থাকতে হবে, কারণ জাতীয় সংসদই একজন জনগণের হয়ে তাদের রাষ্ট্রীয় মালিকানার ক্ষমতা নির্বাহ করতে পারে— কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা ব্যক্তিগোষ্ঠী নয়। আপিল বিভাগের চলমান শুনানিতে আর্টিক্যাল-৭০ নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। আমার মতে, বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত সংসদীয় কার্যক্রমে আর্টিক্যাল-৭০-এর প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকেল কী হবে, এ নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে শুনানিতে। আমার মতে, যে অভিযোগ নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রমাণিত হবে না সে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিচারপতির বিরুদ্ধেও সে ক্ষেত্রে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না এটাই তো স্বাভাবিক।’ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, বিচারপতিদের অপসারণে যে সংসদের কর্তৃত্বের কথা ষোড়শ সংশোধনীতে বলা হয়েছে গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচিত সংসদ ঠিক সেই ক্যাটাগরিতে পড়ে না।

সর্বশেষ খবর