শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাফাত-নাঈমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পক্ষ থেকে গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন চার্জশিটে ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেছেন। এই চার্জশিটে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আগামী ১৯ জুন মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ৬ মে থানায় অভিযোগ দায়েরের এক মাস দুই দিন পর ঢাকার হাকিম আদালতে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হলো। মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ই-মেকার্সের কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ, ঢাকার পিকাসো রেস্তারাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন জানান, সাফাত ও নাঈম ধর্ষণে সরাসরি অংশ নেন এবং বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন বলে চার্জশিটে অভিযোগ আনা হয়েছে। সাফাতের জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ২৮ মার্চ রাতে বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে এ মামলার অভিযোগ। ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়। ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী এই পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাঈম আশরাফকে মুন্সিগঞ্জ থেকে এবং রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার কথা জানালেও গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চার আসামিই নিজেদের দায় স্বীকার করে হাকিমের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর