মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

জলজট দূর করতে প্রয়োজন কর্মোদ্যোগ

জিন্নাতুন নূর

জলজট দূর করতে প্রয়োজন কর্মোদ্যোগ

বর্তমান নগরপিতারা চাইলেই শহরের উন্নয়ন করতে পারেন। তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ড ও ফুটপাথ উচ্ছেদের মাধ্যমে তারা তা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু জলজট সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এখনো আমরা তাদের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখিনি। যদিও মেয়ররা হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত জলাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। তারা আগামী বছর ৫০ শতাংশ জলজট কমবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করছেন। কিন্তু কর্মোদ্যোগ না নিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এই নগরবিদ বলেন, নগর থেকে জলজট দূর করা খুব সহজ। আর হাতির ঝিল ও ধানমন্ডি লেকের সুবাদে বলতে পারি যে, যদি নগরপিতা, যাদের সরকারপ্রধান মন্ত্রী পদমর্যাদার কর্তৃত্ব দিয়েছেন, তারা যদি ওয়াসা, জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই তিনটি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এ কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আজই একটি কর্মোদ্যোগ নেন, তবে ইতিবাচক ফল মিলবে। এ ক্ষেত্রে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেই কর্মোদ্যোগগুলোকে নিয়মিত কর্মধারায় পরিণত করতে হবে। তখন সড়কে জল পড়লে তা খালে পরিণত হবে না। আর খাল তার নিজস্ব ধারায় প্রবাহিত হয়ে নদীতে গিয়ে মিলবে। জলাবদ্ধতা দূর করা যে অসম্ভব নয় তা হাতির ঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এই ধারাবাহিকতায় অবশিষ্ট কাজ যে সমাধান করতে হবে, সে জন্য তেমন জোরালো রাজনৈতিক সদিচ্ছানির্ভর কর্মোদ্যোগ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার ক্ষেত্রে মেয়ররা অন্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা পাচ্ছেন না এ কথা নগরবাসী আর শুনতে আর আগ্রহী নন। মেয়ররা যাতে পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতাবলে শহরের উন্নয়ন করতে পারেন এ জন্যই তাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ কাজগুলো সমন্বয় করার জন্য তাদের বিশেষ কর্তৃত্বও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেয়ররা যদি এই কর্তৃত্ব ট্রাকস্ট্যান্ড সরানো, হকার উচ্ছেদ ও বস্তি উচ্ছেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন, তবে মেয়রদের পক্ষে জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন নয়। আর এটি নিয়ে কোনো ধরনের দ্বিধাও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

সর্বশেষ খবর