শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় ছয়জন দোষী সাব্যস্ত

কলকাতা প্রতিনিধি

মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন আবু সালেম। ১৯৯৩ সালের মার্চে মুম্বাইয়ে চালানো এ বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের মামলাগুলোর দ্বিতীয় ধাপের বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে টেররিস্ট অ্যান্ড ডিসরাপ্টিভ অ্যাকটিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা টাডা কোর্ট গতকাল মুম্বাইয়ে এ রায় ঘোষণা করে। রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হলেও সাজা আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে। আবু সালেমের সঙ্গে আরও পাঁচ গ্যাংস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন মুস্তাফা দোসা, ফিরোজ খান, তাহির মার্চেন্ট, করিমুল্লাহ খান ও রিয়াজ সিদ্দিকি। এদিন এদের প্রত্যেককেই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযুক্ত রিয়াজ সিদ্দিকিকে টাডাসহ অন্য ধারায়ও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে আবদুল কাইয়ুমকে। ১৯ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে । ওই দিন দোষীদের সাজা ঘোষণা হতে পারে।

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বাইয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়াল বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ২৫৭ জন। আহত হয়েছিলেন ৭১৩ জন। হামলা হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ, লাকি পেট্রলপাম্প, কাথা বাজার, সেঞ্চুরি বাজারের বিপরীতে পাসপোর্ট অফিস, জাভেরি বাজার, হোটেল সি রক, প্লাজা থিয়েটারসহ ১২টি স্থানে। শুধু তাই নয়, ওই বিস্ফোরণের ফলে প্রায় ২৭ কোটি টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়। তদন্তে জানা যায়, মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম, টাইগার মেনন, তার ভাই ইয়াকুব মেননের নির্দেশেই ওই সময় মুম্বাইয়ে বিস্ফোরণ ঘটান আবু সালেমের মতো গ্যাংস্টাররা। এ মামলার শুনানি চলাকালে ২০০৩ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সালেম দোসা, ফিরোজ খান, মার্চেন্ট, রিয়াজ, কাইয়ুমসহ প্রত্যেককে আটক করে আলাদাভাবে আদালতে হাজির করা হয়। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। সালেম ২০০২ সালে পর্তুগালে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৫ সালে তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। আর দোসাকে ফিরিয়ে আনা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এ ঘটনায় ২০০৭ সালে প্রথম ধাপের বিচার প্রক্রিয়ায় ইয়াকুব মেননসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। এরপর উচ্চ আদালতে ঘুরে দণ্ড বহাল থাকায় ২০১৫ সালে ইয়াকুব মেননের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

সর্বশেষ খবর