সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা

খালেদা জিয়ার ক্ষোভ, আজ বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ফখরুলের গাড়িবহরে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য যাওয়ার পথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি মহাসচিবকে বহন করা গাড়িসহ আরও অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। রাঙামাটি যাওয়ার কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি প্রতিনিধিদল তত্ক্ষণাৎ চট্টগ্রাম চলে আসে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাত্ক্ষণিক টুইটার বার্তা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। টুইটে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এ হামলা গণতন্ত্র, রাজনীতি, নাগরিক অধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতার ওপর হামলা। এর পরিণাম শুভ হবে না। বিএনপি মহাসচিবের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানাবার ভাষা নেই।’ এ ঘটনায় আজ ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী কুমিল্লা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিএনপি জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাঙামাটি যাওয়ার উদ্দেশে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া অতিক্রম করছিল মির্জা ফখরুল নেতৃত্বাধীন বিএনপির প্রতিনিধিদল। এতে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী অংশ নেন। সবাই গাড়িবহরে ইছাখালী বাজারে পৌঁছামাত্র একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। সবগুলো গাড়িরই কাচ ভেঙে ফেলা হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মহাসচিবকে বহন করা পাজেরো। সেখানে এক বীভৎস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এ ঘটনার পর বিএনপির প্রতিনিধিদল কর্মসূচি স্থগিত করে চট্টগ্রাম চলে আসে। সন্ধ্যায় বিমানে করে ঢাকায় ফেরেন বিএনপি মহাসচিব। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বহরে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের বহরের গাড়িগুলো ইছাখালী বাজার এলাকায় আসামাত্র ৪০-৫০ জনের একটি দল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গাড়িবহরের ওপর হামলা করে। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল লোহার রড, রামদা ও পাথর। তারা বৃষ্টির মতো পাথর মারছিল গাড়িবহরের ওপর। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকটি গাড়ি চুরমার করে ফেলে তারা। হামলায় গাড়ির কাচ ভেঙে বিএনপি মহাসচিব মিজা ফখরুলের হাতে লাগলে তিনি আঘাত পান। হাত দিয়ে রক্ত বেরোয়। আমিও আঘাত পেয়েছি। রুহুল আলমও ঘাড়ে ব্যথা পেয়েছেন। মাহবুবের মাথা এবং আমার হাত দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। আমাদের হায়াত ছিল বলে বেঁচে এসেছি। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, আমরা বেঁচে আছি। এ ধরনের হামলা থেকে জান নিয়ে ফিরে আসাটাই অকল্পনীয় মনে হচ্ছে।’ মাহবুবুর রহমান শামীম ও ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ জানান, মহাসচিবকে বহন করা গাড়িটি ছিল সবার আগে। আরও সাতটি গাড়ি ছিল পেছনে। মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী ও মাহবুবুর রহমান শামীম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতভাবে এ হামলা চালানো হয়। এটা পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা নিকট অতীতে কখনোই ঘটেনি। শামীম বলেন, ‘মাথায় আঘাত লাগায় সিটিস্ক্যান করে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’ এ ঘটনায় ঢাকা ও রাঙামাটিতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। এতে অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, এস এম জিলানীসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী। মিছিল থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে তাত্ক্ষণিক মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নূরুল ইসলাম নয়ন, রফিকুল আলম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর ও গোলাম মাওলা শাহীনের নেতৃত্বে রাজধানীর শাহজাহানপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে রাঙামাটিতেও। দলের কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সহ-উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) মণীষ দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদারসহ শতাধিক নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন। হামলার পর দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি এ হামলাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ হামলায় সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত। যারা মুক্ত চিন্তার কথা বলে, এ সরকারের খারাপ কাজগুলোর বিরোধিতা করে, যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন এবং গণতন্ত্রের পক্ষে  সোচ্চার, তাদের প্রতি এ আঘাত।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চরিত্র আবার উদ্ঘাটিত হয়েছে। সব সময় মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে এলেও তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমতেও তারা বিশ্বাস করে না। সহনশীলতা বলতে তাদের মধ্যে কিছু নেই। আমরা তো সেখানে কোনো জনসভা করতে যাইনি। আমাদের পার্টির মিটিংও করতে যাইনি। যারা নিহত হয়েছেন সেসব পরিবারের প্রতি সহমর্তিতা জানাতে যাচ্ছিলাম।’ এই হামলা ‘অবিশ্বাস্য’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের অবস্থা যদি এই হয়, সাধারণ মানুষের অবস্থা কী! আমি মনে করি, এ আক্রমণ গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। সুস্থ চিন্তার মানুষের প্রতি আক্রমণ।’ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে’ পরাজিত করতে পারলেই এর প্রতিবাদ হবে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। যদিও এ হামলার দায় অস্বীকার করেছেন রাঙ্গুনিয়ার এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়ির ধাক্কায় ইছাখালী এলাকার দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই দুই ব্যক্তি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুই ব্যক্তি আহত হওয়ার জেরে স্থানীয় লোকজন বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে এ হামলা করে। এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যে পথ দিয়ে কাপ্তাই যাওয়ার কথা ছিল শেষ মুহূর্তে সেই পথে না গিয়ে অন্য পথ দিয়ে রওনা দেন, যা আমাদের অবহিত করা হয়নি। বিএনপি নেতাদের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

প্রতিবাদ কর্মসূচি : মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আজ ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল বেলা পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একটি মামলার হাজিরা দিতে কুমিল্লা যান রিজভী আহমেদ। নগরের কান্দিরপাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রিজভী বলেন, ‘হামলার প্রতিবাদে কাল (সোমবার) দেশের সব জেলা সদর, মহানগর ও রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’

হামলার নিন্দা : মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাগপা প্রভৃতি। এ ছাড়া জোটের বাইরে নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিন্দা জানিয়েছে। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন শত নাগরিক কমিটি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলা ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে চায় সরকার। এটা বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের আরেকটি হিংসাশ্রয়ী ও অসুস্থ রাজনীতিরই বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি বিএনপি মহাসচিবসহ আহত নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

তদন্ত করছে পুলিশ : মির্জা ফখরুলের গাড়ি বহরে কারা হামলা করেছে তা জানতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার পর পুলিশ মহাপরিদর্শক এ ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন জেলা পুলিশকে। নির্দেশ পেয়ে ঘটনার কারণ এবং কারা জড়িত তা বের করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘ঘটনার পর আইজিপি ফোন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে কাজ করবে পুলিশ।’

ঘটনা রহস্যজনক- হাছান মাহমুদ : রাঙামাটি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি প্রতিনিধি দলের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় এমপি এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রাঙামাটি যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাদের গাড়ির ধাক্কায় স্থানীয় দুজন বাসিন্দা আহত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনতা ওই ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনা ঘটায়। এটা হামলার ঘটনা নয়, অনভিপ্রেত ঘটনা। তবে বিষয়টি দুঃখজনক। হাছান প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি নেতাদের পুলিশের সহায়তা দিয়ে রাঙামাটি পৌঁছে দিতে চাইলে কেন তারা সেখানে ত্রাণ দিতে গেলেন না? চট্টগ্রাম ফিরে গিয়ে কেন আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপালেন? আবার পাহাড়ধসের ছয় দিন পর কেন তারা এলেন? তাহলে তারা কি আসলেই রাঙামাটি যেতে চাচ্ছিলেন, নাকি ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছিলেন সে রহস্য থেকেই যাচ্ছে। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমও আহত হন। শামীম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। হামলার পরপরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন, হামলা ও ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি হাছান মাহমুদের সমর্থকরা জড়িত থাকতে পারেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই ড. হাছান মাহমুদের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। হাছান মাহমুদ বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর