বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে ‘তামাশা’ করছে। আবগারি শুল্ক ও ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে সংসদের সমালোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে জনগণের সঙ্গে চলছে তামাশা, চলছে নাটক। সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে, আর পুলিশকে বলছে ধরো ধরো। অর্থমন্ত্রীকে বেকুব ও রাবিশে পরিণত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত ভ্যাট আইন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অদ্ভুত ব্যাপার, সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারপরে সংসদে যায় বাজেট। বাজেটে অর্থবিল আইনটি যাওয়ার আগে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন হয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, এটি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অনুমোদন হলো কীভাবে? বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১ জুন সংসদে বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে ভ্যাট এবং ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক নিয়ে সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের সমালোচনা সইতে হচ্ছে মুহিতকে। এমনকি মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজনও সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেটের সমালোচনা করেছেন। যদিও তাদের উপস্থিতিতেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাস হওয়া বাজেটই উপস্থাপন করেছেন মুহিত।
সরকারকে ‘জনদুর্ভোগের সরকার’ বলে আখ্যায়িত করে রিজভী আহমেদ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। ঢাকার চারদিকে সব মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে যাত্রীদের নাকাল অবস্থা। এর মূল কারণ হলো- রাস্তাঘাট খানাখন্দকে ভরা। বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দক ভরে এখন খালে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কগুলোয় দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি চরম বেড়েছে, এটা সরকারের চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। মন্ত্রীরা বাগাড়ম্বর করে যাচ্ছেন, কিন্তু দেশের উন্নয়নের কোনো চিহ্ন নেই। সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কের ৭৫ হাজার কিলোমিটারেরই বেহাল দশা। এসবই বর্তমান সরকারের দুর্নীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোশালপুর গ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি দুই কিশোর নিহতের ঘটনায় সরকার ‘নিশ্চুপ’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ।
