শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

টার্নিং পয়েন্ট হলি আর্টিজান

মির্জা মেহেদী তমাল ও সাখাওয়াত কাওসার

হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি জঙ্গি দমনে টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই হামলার পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গি ইস্যুতে সরকারেরও টনক নড়ে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়হীনতার যে অভিযোগ ছিল, তাও দ্রুত কমে আসতে থাকে এবং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স চলতে থাকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হলি আর্টিজানে হামলার সূত্রের সন্ধানে নেমে জঙ্গিদের শিকড়ের কাছাকাছি যেতে সমর্থ হন গোয়েন্দারা। আর সেসব সূত্রেই জঙ্গিদের সব ডেরার খবর পাওয়া যায়। বিগত ১১ মাসে বিভিন্ন জেলায় এমন ১৯টি শক্তিশালী ঘাঁটিতে অভিযান চালানো  হয়। অপারেশন থান্ডারবোল্ড থেকে শুরু করে অপারেশন সান ডেভিল নামের এই অভিযানে ৬০ জঙ্গি নিহত হয়। আর জঙ্গি দমন করতে গিয়ে প্রাণ হারান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয়জন চৌকস কর্মকর্তা।

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলছিলেন, ‘হলি আর্টিজানের ঘটনা একদিকে যেমন আমাদের ওয়েক-আপ কল, তেমনি এটা আমাদের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। হলি আর্টিজানে যেসব ডিভাইস জঙ্গিরা ব্যবহার করেছিল সেগুলো আমরা অ্যানালাইসিস করেছি এবং আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রুপটি নিয়ে যে কাজ করছিলাম তার আলোকে আমরা আরেকটি গ্রুপের সন্ধান পাই। যারা ঢাকা শহরে অবস্থান করে আরও বড় ঘটনা ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল; ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে এ রকম একটা তথ্য ছিল। সেই তথ্যকে আরও যাচাই-বাছাই করে গত বছর ২৬ জুলাই আমরা প্রিভেনটিভ অপারেশন করি। তাতে একজনকে জীবিত গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও বাকি নয়জন নিহত হয়। ওখান থেকেও আমরা বেশকিছু আলামত, ইলেকট্রনিক ডিভাইস (যদিও ধ্বংস করা) রিকভার করতে পেরেছিলাম। পাশাপাশি যে গ্রেফতার হয়েছিল জীবিত, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা আরও কিছু নতুন তথ্য পাই। এই তথ্যের আলোকে আমরা কার্যক্রম চালাতে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় একটা পর্যায়ে আমরা তামিম চৌধুরীকে চিহ্নিত করতে পারি। তার বাসাটি চিহ্নিত করার পর সেখানে আমরা অভিযান চালাই। সফল অভিযান শেষে সেখান থেকেও আমরা বেশকিছু তথ্য পাই। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে। সেই সূত্র ধরে পরবর্তী সময়ে মেজর জাহিদের বাসা চিহ্নিত করি। সেখানে থানা অভিযান চালায়। অভিযানের সময় জাহিদকেও জীবিত ধরার প্রচেষ্টায় আমাদের কেউ কেউ গুরুতর আহত হন। এরপর সেখানকার তথ্য নিয়ে আবার মেজরের স্ত্রীর সন্ধানে আজিমপুরে অভিযান পরিচালনা করি। জীবিত ধরার চেষ্টার কারণেই ওখানেও বেশ কয়েকজন আহত হন। অর্থাৎ একটা অভিযানের ফলে আরেকটা অভিযানের তথ্যগুলো এসেছে। এটার একটা পরিসমাপ্তি গাজীপুরে অভিযানের মাধ্যমে হয়েছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে আজিমপুর, গাজীপুর এবং আশকোনায় অপারেশনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে তাদের ক্যাপাসিটি যা গড়ে উঠেছিল তা ধ্বংস করতে পেরেছি।’

কল্যাণপুর অভিযান : অপারেশন স্টর্ম-২৬ : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি জঙ্গিবিরোধী তৎপরতা শুরু করে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই বিশেষ অভিযান শুরু হয়। রাজধানীতে প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ চলতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জুলাই, ২০১৬ তারিখে রাতের প্রথম প্রহরে রাজধানীর কল্যাণপুরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ৫৩ নম্বর ‘তাজ মঞ্জিল’ নামে একটি ভবনের পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি জানানো হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে। জঙ্গি সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি না হলে ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে অভিযান চালানো হয়। ভোর ৬টা ৫১ মিনিটে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করার পর ওই বাসা থেকে নয় জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ছিল ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

নারায়ণগঞ্জে অভিযান : অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭ : কল্যাণপুরের অভিযানের ঠিক এক মাসের মাথায় ২৭ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে অভিযান চালানো হয় নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়। ওই অভিযানে নিহত হয় নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা ও গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরী। এ সময় কাজী ফজলে রাব্বী ও তওসিফ হোসেন নামে দুই জঙ্গিও নিহত হয়।

অপারেশন রূপনগর : নারায়ণগঞ্জের আস্তানা থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয় মিরপুরের রূপনগরের ৩৩ নম্বর সড়কের ১৪ নম্বর ছায়ানীড় নামে এক ভবনে। ওই অভিযানে সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। ওই বাসা থেকে একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। পেনড্রাইভে কয়েকটি ছবি ছিল। ছবিতে জাহাজবাড়ীতে নিহত জঙ্গিদের আইএসের পতাকার সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র হাতে হাসিমুখে পোজ দিতে দেখা যায়। ঠিক হলি আর্টিজানে হামলা চালানো পাঁচ জঙ্গির যে রকম ছবি আইএস প্রকাশ করেছিল এই ছবিগুলো ছিল সে রকম। এতে ধারণা আরও জোরালো হয় যে, তারা বড় কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিল।

অপারেশন আজিমপুর : রূপনগরের অপারেশনের পর সিটিটিসি কর্মকর্তারা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার ইসলাম ওরফে শীলাকে খুঁজতে থাকেন। একই সঙ্গে করিম সাংগঠনিক নামের আরেক ব্যক্তিকে ধরতেও অনুসন্ধান চলতে থাকে। পরে সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানতে পারেন রূপনগরের বাসায় ব্যবহূত একটি রাউটার আজিমপুর এলাকায় ব্যবহূত হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আজিমপুরের বাসাগুলোয় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখ আজিমপুরের পিলখানার ২ নম্বর গেটসংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় সিটিটিসি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই বাসায় তল্লাশি করতে গেলে বাসায় থাকা নারী সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশও পাল্টা আক্রমণ করে নারী সদস্যদের জীবিত অবস্থায় আটক করে। তবে বাসার ভিতরে গলা কাটা অবস্থায় একজন পুরুষ সদস্যের লাশ পাওয়া যায়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম তানভীর কাদেরী বলে পরে জানা যায়।

গাজীপুরে অভিযান : অপারেশন স্পেইট-৮ : জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সিটিটিসি ৮ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় একটি অভিযান চালায়। আকাশ নামে নব্য জেএমবির একজন শীর্ষ নেতা ও তার সহযোগীদের ধরতে সকাল সাড়ে ৯টায় চালানো ওই অভিযানের প্রথমে জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে ফেলা হয়। পরে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সোয়াট সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় বিকাল ৩টায়। অভিযান শেষে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

অপারেশন হাড়িনাল : পাতারটেকে অভিযানের একই দিনে আধা কিলোমিটার দূরে হাড়িনাল এলাকায় একটি জঙ্গি আস্তানায় পৃথক অভিযান চালায় র‌্যাব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা আস্তানাটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় আস্তানা থেকে জঙ্গি সদস্যরা বাইরে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। অভিযান শেষে দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলো নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আলতাফ হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব ও জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার জিন্দেরপুর ইউনিয়নের গাফফার মণ্ডলের ছেলে আমিনুল এহসান। তবে জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ব্যবহূত ওই বাসাটি ভাড়া নিতে তৌহিদ ও রাশেদ পরিচয় দিয়েছিল তারা। র‌্যাব কর্মকর্তারা ওই বাসা থেকে একটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করে।

অপারেশন কাগমারা : গাজীপুরের হাড়িনালে অভিযানের পাশাপাশি র‌্যাব টাঙ্গাইলের কাগমারা এলাকার মির্জামাঠসংলগ্ন একটি বাসায় অভিযান চালায়। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া অভিযান চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। অভিযান শেষে ওই আস্তানা থেকেও দুই জঙ্গি সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। আস্তানা থেকে ১টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১২ রাউন্ড গুলি ও ১০টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে নিহত দুই জঙ্গি হলো রাজশাহীর নিমপাড়া গ্রামের লুত্ফর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান ও ইউসুফপুর গ্রামের জুনায়েদ হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন।

অপারেশন আশুলিয়া : গাজীপুরের অভিযানের একই দিন সন্ধ্যায় র‌্যাবের পৃথক একটি দল আশুলিয়ার গাজীরচট বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকার শাহীন মৃধার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে এক জঙ্গি পাঁচ তলার গ্রিল কেটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পাঁচ তলা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হলে তাকে তত্ক্ষণাৎ উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। র‌্যাব সদস্যরা ওই আস্তানা থেকে নিহত জঙ্গির স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমি ও তাদের দুই সন্তানকে আটক করে। পরে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সরোয়ার জাহান ওরফে আবদুর রহমান। তার বাসা থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তারা সে সময় জানান, আবদুর রহমান নব্য জেএমবির অর্থদাতা। তবে ২২ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এই সরোয়ার জাহানই নব্য জেএমবির কথিত আবু ইবরাহিম আল হানিফ বলে দাবি করেন। এর সপক্ষে তিনি কিছু তথ্য-প্রমাণও সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। তবে সরোয়ার জাহানই আবু ইবরাহিম কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সিটিটিসির কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন।

অপারেশন আশকোনা : রিপল-২৪ : জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার আশকোনায় অভিযান চালায় সিটিটিসি ইউনিট। রাতে শুরু হওয়া অভিযান পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। এ সময় প্রথমবারের মতো আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জঙ্গি আস্তানার ভিতর থেকে জেবুন্নাহার শীলা ও তৃষামণি নামে দুই নারী জঙ্গি তাদের শিশু সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। তবে অভিযানের সময় সারিকা ওরফে তাহিরা নামে এক নারী সুইসাইডাল ভেস্ট পরে আত্মঘাতী হয়। এ সময় তার এক শিশু সন্তানও মারাত্মক আহত হয়। আস্তানার ভিতরে থাকা আফিফ কাদেরী নামে আরেক কিশোর জঙ্গি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সোয়াট সদস্যরা পাল্টা গুলি চালান। পরে আস্তানা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আত্মসমর্পণকরী দুই নারীর একজন শীলা, রূপনগরে নিহত জঙ্গি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদের স্ত্রী এবং তৃষামণি পলাতক মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসা নামে আরেক জঙ্গির স্ত্রী। আত্মঘাতী নারী সুমন নামে এক জঙ্গির স্ত্রী। এ ছাড়া নিহত কিশোর আজিমপুরে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর যমজ সন্তানের একজন। আশকোনায় অভিযানের পর সিটিটিসি ওই বাসা থেকে ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট ও ২টি পিস্তল উদ্ধার করে।

এ ছাড়া অপারেশন সাধনকুটির, অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬, অপারেশন টোয়ালাইট, অপারেশন হিটব্যাক, অপারেশন ম্যাক্সিমাস, অপারেশন স্ট্রাইক আউট, অপারেশন সাউথ-প (দক্ষিণের থাবা), অপারেশন ঈগল হান্ট, অপারেশন শাটল স্প্লিট, অপারেশন সান ডেভিল নামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সর্বশেষ খবর