শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মানুষকে ভালোবাসা উচিত

------ অবিন্তার নানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষকে ভালোবাসা উচিত

গ্যালারির দেয়ালজুড়ে নানা রঙের ছবি। রঙের ছটায় লেখা মাকে ভালোবেসে রেখে যাওয়া কবিতা আর কথা। আর এই স্মৃতির মাঝখানে চোখ আটকে যায় অবিন্তার হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে। এভাবে অবিন্তাকে স্মরণ করে আঁকা ৬২ জন শিল্পীর ছবি সাজিয়ে রাখা হয়েছে অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে। ছবি আঁকার মতোই অবিন্তার স্বপ্ন ছিল দুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় অবিন্তা আর্ট গ্যালারিতে কথা হয় তার নানি নীলু মোর্শেদের সঙ্গে।

গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে নৃশংস জঙ্গি হামলায় নিহত হন অবিন্তা কবির। তার সঙ্গে কাটানো ১৯টি বছর এখন পরিবারের স্মৃতি আর তার দেখে যাওয়া স্বপ্নগুলোই ভবিষ্যৎ। অবিন্তার কথা বলতে গিয়ে নীলু মোর্শেদ বলেন, ‘ও খুব নরম মনের মানুষ ছিল। মানুষের কষ্ট ওকে নাড়া দিত। মানুষকে নিয়ে ওর স্বপ্নের কথা লেখা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের শেষ পৃষ্ঠায়। আমরা অসহায় শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি স্কুল খুলেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন দুস্থ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। অবিন্তার স্বপ্ন ছিল বৃদ্ধাশ্রম ও শিশুপল্লী গড়ে তোলার। আমাদের জীবনে ওর এই স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নেই।’ একমাত্র নাতনির শোকে চশমার ফ্রেম ছাপিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রুকণা। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে অনেক ভালো মা ছিল। কিন্তু এখন আর তার মা থাকা হলো না। কেউ আর তার হাতটি ধরে মা বলে ডেকে ওঠে না। আমাদের জীবন তো চলেই গেল। একমাত্র সন্তান হারিয়ে ওর জীবনটা কীভাবে কাটবে?’

পরিবারের উদ্দেশে নীলু মোর্শেদ বলেন, ‘শিশুদের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার পরিবার। তাই পরিবার থেকে শিশুদের জাতধর্মনির্বিশেষে মানুষকে ভালোবাসা শেখাতে হবে। কারও জীবন দেওয়ার ক্ষমতা যেহেতু নেই, কারও জীবন নেওয়ার অধিকারও আমাদের নেই। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হলে মানুষ কাউকে হত্যা করতে পারে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর