শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রচলিত ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন

শহিদুল হাসান

প্রচলিত ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন

পানি নিষ্কাশনের জন্য বাংলাদেশে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, তা অপ্রতুল। আর যে ড্রেনগুলো আছে, ময়লা জমে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ড্রেনগুলো বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে না। অথচ ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো বড় বড় শহরগুলোর জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রতিবছর কাজ হচ্ছে। কিন্তু এসব কাজে কোনো সমন্বয় নেই। ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয় রেখে এ সমস্যার সমাধান করা উচিত। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোকেও উন্নত করতে হবে। এসব কাজ নিয়মিত তদারকও করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল হাসান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারের দুটি সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর মধ্যে মাটির নিচের পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ওয়াসার। আর শহরের ঘরবাড়ি থেকে যে পানি বের হয় তা নিষ্কাশনের কাজ সিটি করপোরেশনের। পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি যথাযথভাবে বজায় রাখতে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর বর্ষাকালে ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না তা মনিটর করতে হবে। এলজিইডির সাবেক এই প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘এমনকি পানি নিষ্কাশনের জন্য আমাদের যে প্রাকৃতিক পদ্ধতি আছে তাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ শহরে আমাদের খাল ও নদীগুলোও দখল বা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে যেতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মাটির নিচে বড় ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আবার ঢাকায় হাতিরঝিলের মতো কৃত্রিম লেক তৈরি করে জলাবদ্ধতা সমস্যার কিছুটা সমাধান করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকা বলে ঢাকার চেয়ে জলাবদ্ধতার সমস্যা কিছুটা কম হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। কারণ পাহাড়ি এ এলাকায় এখন পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বৃষ্টির পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শহিদুল হাসান বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এর রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছে না। বরং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার একসঙ্গে সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ তথা অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।

সর্বশেষ খবর