শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রো-ন্যাচারাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রয়োজন

ড. মো. মুজিবুর রহমান

প্রো-ন্যাচারাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রয়োজন

ভবিষ্যতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো অন্য শহরগুলোও বৃষ্টিতে তলিয়ে যাবে এমন আশঙ্কা আছে। এ জন্য জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রো-ন্যাচারাল পদ্ধতিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে যেভাবে অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে তা পরিকল্পিত নয়। আর দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেও ঢাকা ও চট্টগ্রামবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এই অধ্যাপক বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্টদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার নকশা করতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ স্থান খোলা রাখতে হবে। আশপাশে গাছপালা রাখতে হবে। কিন্তু এমনটি মানা হচ্ছে না। যে যেখানে পারছে সেখানেই ড্রেন বানাচ্ছে। আর কংক্রিটের জন্য বৃষ্টির পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। ফলে পুরো শহরের ড্রেনেজ কার্যক্রম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণত কোথাও বৃষ্টির পানি জমলে তা ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম মেনে ড্রেন তৈরি না করায় এ পানি সরতে পারছে না। অন্যদিকে বর্তমানে শহরে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। এ কারণেও নগরে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি গত বছর সরেজমিন শান্তিনগরে গিয়ে দেখেছি, বৃষ্টির পানিতে সেখানে যাতায়াতকারী মানুষকে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর শান্তিনগরের জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধান করে দেখলাম, সেই এলাকার কাছেই অবস্থিত সেগুনবাগিচায় যে বক্স-কালভার্ট আছে তাতে ময়লা-আবর্জনা জমে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানিও সহজে সরতে পারছে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথাগত পদ্ধতিতে ঢাকা-চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর ও পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব নয়। কারণ বিশ্বব্যাপী এখন ড্রেনেজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমাদেরও পুরনো পদ্ধতি থেকে সরে আসতে হবে। প্রকৃতিকে অনুসরণ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন করে নকশা করে প্রধান এই দুই শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’

সর্বশেষ খবর