শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

গুম জ্যামিতিক হারে বেড়েছে

রুহুল কবির রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুম, অপহরণ, অবৈধভাবে আটক, বিচারবহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আদিম অমানবিকতা সারা দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে।

তিনি গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপদে জীবনযাপন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে এখন বিষাক্ত কাঁটার খাঁচার মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। বাংলাদেশে প্রতিটি জনপদে, বাড়িতে বাড়িতে মৃত্যুভয়, গুমের ভয়, অপহরণের ভয়, নিখোঁজের ভয়, বিনা বিচারে আটকের ভয় নিয়ে গভীর আশঙ্কায় মানুষ জীবনযাপন করছে। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রের পানিতে লবণ উৎপাদনের কোনো সমস্যা নেই। তারপরও সরকার ৫ লাখ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারও দরজায় নাড়া দিচ্ছে। দুঃশাসনের বিষাক্ত ছোবলে বিরোধী দলের নেতা থেকে শুরু করে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মী, শ্রমিক নেতা, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে তাদের গোপন স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কিছুদিন পর কারও কারও লাশ মিলেছে খালে-বিলে-নালা-ডোবায় কিংবা রাস্তার ধারে।

আর অন্যদের ভাগ্যে কী জুটেছে- তা এখনো অজানা। বিএনপির এই নেতা বলেন, কবি ফরহাদ মজহার অপহরণের ঘটনায় গোটা জাতি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। এই ট্রমা শুধু ফরহাদ মজহারকেই আক্রান্ত করেনি, সমগ্র দেশবাসীকেই করেছে। ফরহাদ মজহার অপহরণকে নিছক সন্ত্রাসীদের অপহরণ বলে চালানোর অপচেষ্টা করে সরকার ও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলেছে, তা নাটকের অন্তরালে প্রকৃত ঘটনা ক্রমাগতভাবে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ভোটারবিহীন সরকারের আক্রোশের শিকার কে হন কিংবা কার ভাগ্যে কখন কী ঘটে- সে বিষয়ে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন জীবনযাপন করছেন দেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপদে জীবন-যাপন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক তদন্ত ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও সরকার ত্রাণ নিয়ে মানুষের সঙ্গে উপহাস করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর