শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে যুক্ত সিনোহাইড্রো

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজে নতুন করে যুক্ত হলো চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন। এ প্রকল্পে বিনিয়োগকারী ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি নির্ধারিত সময়ে তাদের কাজ শেষ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কথা ভাবছিল সরকার। এমন অবস্থায় কোম্পানিটি সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে আরও ছয় মাস সময় নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। গতকাল রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে এ বাংলাদেশ সরকার এবং ইতাল থাই ও সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  চুক্তি শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ইতাল থাই তাদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি। কাজ চলেছে ঢিমেতালে। ফলে ইতাল থাইয়ের সঙ্গে সরকার চুক্তি বাতিলের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এর আগে তারা অন্য একটি কোম্পানিকে এনেছিল। কিন্তু তারা সেই অর্থায়নটাও করতে পারেনি। জনগণের সঙ্গে আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয় রয়েছে। ফলে আমরা তো ঢিমেতালে চলতে দিতে পারি না। এখন তারা (ইতাল থাই) সিনোহাইড্রোকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান নিজেই এসেছেন। আমরা উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ফলে আমরা নতুন করে তাদের সঙ্গে চুক্তিতে গেলাম। আমাদের চাহিদা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটির প্রথম ফেজ এয়ারপোর্ট থেকে বনানী পর্যন্ত সম্পন্ন করবে। এখানে ইতাল থাই ৫১ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো ৪৯ শতাংশ হিসেবে যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের কাজ যেন থেমে না থাকে এ জন্য আপাতত সিনোহাইড্রো ১০ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সিনোহাইড্রো পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ করছে। তারা তো আর এখান থেকে চলে যাচ্ছে না। তারা একটা বিশ্বাসযোগ্য কোম্পানি। তারা নিশ্চিত করেছে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এবং অর্থায়নের ব্যাপারে। ফলে তাদের ছয় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ৫৮৯টি পাইল, ৪৩টি পাইল ক্যাপ, দুটি কলাম এবং আটটি কলামের আংশিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে মূল নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, চুক্তি সম্পাদনের দুই বছর পর ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ ছাড় করতে না পারায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করতে পারেনি কোম্পানিটি। এরপরই সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থেকে ইতালিয়ান থাই কোম্পানিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যায় সরকার। এমন অবস্থায় সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত কাজ করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গতকাল চুক্তি করেছে।

প্রসঙ্গ-পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ হবে এটা আমি বলতে পারি। সেতু এবং রেল একই সঙ্গে খোলা হবে। তবে সেতুর দুই ভাগের রেল লিংকের কাজের ব্যাপারে রেলমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। এটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।

প্রসঙ্গ হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদন : হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে অন্ধকারে ঢিল না ছোড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হবে। এখানে স্পষ্টভাবে বলতে হবে। নামগুলো নির্দিষ্টভাবে বলতে হবে তথ্য-প্রমাণসহ। আর ফরহাদ মজহার সাহেবের ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের কথা রয়েছে। এটা অনেকটা রহস্যে ঘেরা। তিনি অপহরণ হয়েছেন এটা সত্য। অপহরণের ঘটনা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। ঘটনাটা নিয়ে যে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু অপহরণটা কারা করেছে। কেননা ফরহাদ মজহার নিজেই বলছেন দেশে এবং বিদেশে সরকারকে বিব্রত করতে কেউ তাকে অপহরণ করতে পারে বা অপহরণ নাটক করা হয়েছে। এটা তার নিজেরই জবানবন্দি।

 তার কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই এটাকে কি গুম বা অপহরণ বলা যাবে? অথবা এটা সরকারই করেছে সেটা কি বলা যাবে? আসল কথা হলো—এখন সামনে নির্বাচন। মাত্র সোয়া বছর বাকি। ফলে অনেক নাটক হবে। অনেক ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত চলতে থাকবে। সেটা হোক কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যেন না হয়। আমি সবাইকে বলব দেশটার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করবেন না।

সর্বশেষ খবর