শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মেয়র মান্নান ফের বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক


মেয়র মান্নান ফের বরখাস্ত

তৃতীয়বারের মতো বরখাস্ত হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবার তাকে বরখাস্ত করেছে। গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের কথা উল্লেখ করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়াকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান দায়িত্ব পালনকালে সিটি করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের আয়সমূহ কোনো ব্যাংক হিসাবে না রেখে নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্যাশ ইন হ্যান্ড হিসেবে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার কাছে রাখেন। তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিধি ভঙ্গ ও অর্থগ্রহীতার স্বাক্ষরবিহীন ৯৯৯টি ভুয়া ভাউচার সৃজন করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই মর্মে দুদক গত বছর ১২ জুন জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করে। মামলায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুরের বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। পরে ১৮ জানুয়ারি ওই অভিযোগপত্র ওই আদালতে গৃহীত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে অধ্যাপক এম এ মান্নানকে তৃতীয়বার বরখাস্ত করা হলো। এর আগে ২৮ মাস বরখাস্ত থাকার পর আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে ১৮ জুলাই মেয়রের চেয়ারে বসেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলা মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২৮ মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে। সব কটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি নিয়ে তিনি ফের মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এম এ মান্নানের অবর্তমানে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ থেকে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ জুলাই নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে সেই নির্বাচনে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ খবর