রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফরহাদ মজহারকে অপহরণের প্রমাণ মেলেনি : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরণ হয়েছিলেন তদন্তে এমন প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি, সে তথ্যের আলোকে মনে করছি ফরহাদ মজহার অপহরণ হননি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘মাদকের ভয়াবহতা নিরসনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন— পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কানুতোষ মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুল আলম প্রমুখ। সেমিনারে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের ১২ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের ফটোসাংবাদিক আশিক মোহাম্মদকে মারধর করে পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, আশিকের বিরুদ্ধে মাদক মামলার ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের কোনো সদস্য এতে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেমিনারে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী ২১টি অভিযান হয়েছে। এতে ৫৭ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এসব অভিযানে জঙ্গিরা কোণঠাসা ও দুর্বল হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের অবস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পরিনি। শহরাঞ্চলে তারা সংগঠিত হতে না পেরে গ্রামে যাচ্ছে। আমরা তাদের নজরদারিতে রেখেছি। জঙ্গিবাদ ও মাদক নিয়ে আমরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এখন আর সেটা নেই। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। পুলিশ জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান গ্রহণ করেছে। কোনো পুলিশ সদস্যের মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে পুলিশ। আইজিপি বলেন, মাদক দেশের অন্যতম সমস্যা। ২০১৬ সালে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক আইনে মামলা করেছে ৬২ হাজার ২৬৮টি এবং গ্রেফতার করেছে ৭৮ হাজার ২১৪ জনকে। গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের শাস্তি হয়। অন্যরা আইনের ফাঁক-ফোকরে বেরিয়ে এসে আবার মাদকে জড়িয়ে পড়ছে।

সর্বশেষ খবর