মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রচারণা চালান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছিল সেসব দিনের ঘটনাগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে জোরালো প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়েও প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত  বৈঠকের পর অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকসূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার গত কয়েক বছরে দেশব্যাপী যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছে তার প্রচার-প্রচারণা সে রকম হচ্ছে না। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অনেক ভালো ভালো অর্জন আছে। কিন্তু মানুষ সেগুলো সম্পর্কে জানে না। তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রত্যেক মন্ত্রণালয় তাদের নিজ নিজ অর্জন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা জনগণের মাঝে প্রচার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এখনো সরকারবিরোধী নানা প্রচার-প্রপাগান্ডায় সক্রিয়। তাদের এ প্রচারণার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরলে এবং তাদের মিথ্যার জবাব দিলে জনগণ বুঝতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে এবং পরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস তাণ্ডব, পেট্রলবোমা মেরে ও আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভূমি অফিস, বিদ্যুৎ অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া, তথাকথিত অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও চালানো, নির্বাচন ঠেকানোর নামে স্কুলঘর পুড়িয়ে দেওয়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হত্যাসহ সেসব অপকর্ম চালানোর চিত্র তুলে ধরে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিটিভিসহ অন্যান্য মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের সেই দিনগুলোর তাণ্ডব প্রতিদিন প্রচার করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে বিএনপি-জামায়াত কী করেছিল? কী করতে চেয়েছিল? তারা দেশের কত ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, জোরালো প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ড রুখতে হবে। স্মারক ডাকটিকিট : মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এ-দেশীয় দোসরদের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ওপর আলোকচিত্র সমন্বয়ে ৭১টি স্মারক ডাকটিকিটসংবলিত উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ শিরোনামে একটি বিশেষ ডাকটিকিট অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সর্বশেষ খবর