বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাবনায় চিকিৎসক ও নার্সদের হাতাহাতি পাল্টা ধাওয়া

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে চিকিৎসা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বেলা ১২টার দিকে মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে একজন রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সরকারি-বেসরকারি সেবক-সেবিকারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, গতকাল বেলা ১২টার দিকে মেডিসিন ওয়ার্ডে সিনিয়র ডাক্তারের রাউন্ডের সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সঙ্গে ছিলেন। এ সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ম্যাটস-এর শিক্ষার্থীরা ডাক্তারের সঙ্গে থাকতে চাইলে ইন্টার্ন চিকিৎসক শোভন আহমেদ ওয়ার্ড থেকে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী ও জুয়েলকে মারপিট করে বের করে দেন। একপর্যায়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে নার্স এবং ওয়ার্ডবয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগী ও স্বজনরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রোগীর স্বজনরা প্রশাসনিক দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান সমাধানের চেষ্টা চালালে আমরা চলে আসি। নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, বিনা কারণে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আমাদের মারপিট করেন। বিষয়টি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ম্যাডামকে অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা সদর হাসপাতালে পাবনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিনিয়র চিকিৎসক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ইন্টার্ন চিকিত্কদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে তারা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে সময় দিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহফুজ নয়ন বলেন, একটি কক্ষে দুই নার্সিং শিক্ষার্থী বসে ছিল। তাদের কাজ করতে বলায় এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে এটি সমাধান হয়ে গেছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান বলেন, একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। সেটি ঠিক করে দিয়েছি। এ সময় একজন রোগী মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোগীটি আগেই খারাপ অবস্থায় ছিল। এ ঘটনায় মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শফিকুল হাসানকে আহ্বায়ক ও আবাসিক চিকিৎসক আকসার আল মাসুরকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর