শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষমতার স্বাদ নিতে তিন জোটেই সক্রিয় ইসলামী দলগুলো

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

ক্ষমতার স্বাদ নেওয়ার আশায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি— এই তিন জোটেই সমানভাবে সক্রিয় দেশের ইসলামী দলগুলো। নির্বাচন সামনে রেখে জোটের বাইরে থাকা দলগুলোও ক্ষমতার ভাগ পেতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে ধর্মভিত্তিক দল ও সংগঠনের সংখ্যা কত সেই পরিসংখ্যান নেই, তবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলের সংখ্যা ১১টি। ১৪ দলীয় জোট : আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল তরীকত ফেডারেশন। এরা একমাত্র ইসলামী দল যারা নৌকা প্রতীকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়। ১৪ দলে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার জন্য ইতিমধ্যে তরীকতের নেতৃত্বে একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য আইনি এবং রাজপথে লড়াই করে যাচ্ছে সংগঠনটি। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে তরীকতের দায়ের করা মামলায়।

তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল বলেন, ঐক্য প্রচেষ্টা দীর্ঘদিনের। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক হবে নাকি কর্মসূচিভিত্তিক হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। জোটভুক্ত দলে কারা থাকবে, এ নিয়ে চমক থাকবে বলেও জানান এম এ আউয়াল। ২০ দলীয় জোট : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস। হাই কোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৬৩০/২০০৯ এর ওপর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এর ফলে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। উচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। তবে জোটে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে নানা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেছে ইসলামী ঐক্যজোট। সংগঠনটি জোটের বাইরে থাকা নিবন্ধিত ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটি জোট গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারা রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বে। জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জোটের বাইরে থাকা ইসলামী দলগুলো ছাড়াও অনিবন্ধিত দল ও সংগঠনগুলো নিয়ে আমরা একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমরা এখনো ২০ দলীয় জোটে আছি। তবে বিএনপির সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু বোঝাপড়া রয়েছে। সম্মিলিত জাতীয় জোট : সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্প্রতি সম্মিলিত জাতীয় জোট নামে একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করেছেন। এতে ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী মহাজোট নামে একটি মোর্চা রয়েছে। এই মোর্চা ৩৫টি অনিবন্ধিত ইসলামী দল ও সংগঠন নিয়ে গঠিত। নির্বাচন সামনে রেখে এই ধর্মভিত্তিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েছে। জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএর চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন ইউএএ জোটের লক্ষ্য বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী নিয়ে মাঠে থাকব। তিনি বলেন, আমরা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী। তবে সব ধর্মের প্রতি আমাদের সম্মান আছে।

সর্বশেষ খবর